টিকা নিয়ে অপপ্রচারে কান দেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

1230
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখন করোনার ভ্যাকসিন আসছে, নানাজন নানা কথা বলেছে, আমরা কিন্তু কোনো দিকে তাকাইনি। অ্যাডভান্স করে দিছি। যাতে অনুমোদন হলে আমরাই প্রথমে টিকা পাই। ৪০ বছরের ওপর বয়সী ও মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে এমন লোকাদের আগে দিচ্ছি। তাই কোনো অপপ্রচারে মনযোগ দেওয়া যাবে না।
বুধবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনাভাইরাসের সময়ে আমরা ইতিমধ্যে টিকা আমরা দেওয়া শুরু করেছি অনেক কথা শুনতে হয়। এসব কথায় কান দিলে চলে না। অনেকেই তো বলেছে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আসবে না। অনেক উন্নত দেশও কিন্তু আনতে পারেনি। আমি কিন্তু কোনোদিকে তাকাইনি। আমার কাছে মানুষ সব থেকে বড়, মানুষের জীবন বড়।

তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম ভ্যাকসিনের জন্য টাকা দিই, এক হাজার কোটি টাকা আলাদা রেখে আমি সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডভান্স করে দিয়েছিলাম যে যখনই ভ্যকসিন তৈরি হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখনই অনুমোদন দেবে, সকলের আগে যেন বাংলাদেশ পায়। এবং সেটাই আজকে প্রমাণিত সত্য।

অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতাদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ ধারণ কর রাজনীতি করতে গিয়ে যারা লোভের বশবর্তী হয়ে অর্থ-সম্পদকে বড় করে দেখেছে, তারা কিন্তু টিকতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু বক্তৃতা-স্লোগান নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে একজন মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না। যেটা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। প্রতিটি সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে যুবলীগ। দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ আসবে-যাবে। নিজেদের শক্ত থাকতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে।’

এ সময় সরকারের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, যারা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ, জিয়া ও খালেদা জিয়া প্রত্যেকে নিজেদের ভাগ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মানুষের জন্য কিছু করেননি। আওয়ামী লীগই মানুষের জন্য কাজ করেছে ও করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমি নাকি বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না। এখন আমরা ক্ষমতায় আছি বলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারছি। এ জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন