চট্টগ্রামে বসে সারাদেশে ইয়াবা পাচার, যোগাযোগ অ্যাপের মাধ্যমে

1090
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

পেশায় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে তার দোকান। আড়ালে করেন ইয়াবার ব্যবসা। চট্টগ্রামে বসে ইয়াবা সরবরাহ করেন ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। খুচরা বিক্রেতা ও বাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হোয়াটস অ্যাপ-ইমো-ভাইবারসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে। সরাসরি মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলেন না।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নগরীর কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মোড়ে ফুলকলি দোকানের সামনে থেকে ৩৫০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার মো. আব্দুল করিম (৩৯) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা দোভাষীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার লেইনে এসএন ইসলাম মার্কেটে ‘তৌহিদ এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ইলেকট্রনিক্স আইটেমের দোকানের মালিক আব্দুল করিম।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘গ্রেফতারের সময় তার কাছে আমরা ৩৫০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ২৬ হাজার ৩০০ টাকা পাই। তার মোবাইলটি জব্দ করি। কিন্তু সে কোনোভাবেই মোবাইলের পাসওয়ার্ড আমাদের দিতে রাজি হচ্ছিল না। পরে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইলে ঢুকে দেখি বিভিন্নজনের সঙ্গে সে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। ইয়াবার স্যাম্পলের ভিডিও পাঠায়। গন্তব্য, টাকাপয়সার লেনদেনসহ সকল কিছুই হয় অ্যাপের মাধ্যমে। পুলিশকে এড়াতেই সে সরাসরি মোবাইলে কথা বলে না।’
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি নেজাম আরও জানান, আব্দুল করিম ও তার ভাই আব্দুল খালেক- দু’জনের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকমুণ্ডি লেইনে ইলেকট্রনিক্স আইটেমের দোকান ছিল। মূলত তারা ওই দোকানের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করত। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দিত বাহকের মাধ্যমে।
২০১৭ সালের ১৬ জুলাই আব্দুল করিমকে সাউন্ডবক্সের ভেতরে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ নগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সিডিএ মার্কেটের দোকান থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। জামিনে বেরিয়ে আব্দুল করিম নতুন দোকান খুলেন। এরপর আব্দুল খালেকও ১১ হাজার ৭৭৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন। খালেক এখনও জেলে আছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন