কোন দিকে যাচ্ছে করোনা

1238
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

গেল বছরের ২৩ মার্চ করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩৩ জন। এর এক বছর পর গতকাল ২৩ মার্চ রোগী শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৫৫৪ জন। করোনা সংক্রমণের এক বছর পর এসে একদিনে রোগী শনাক্ত বেড়েছে ৩ হাজার ৫২১ জন। করোনা সংক্রমেণর এ পরিসংখ্যানই বলছে, দেশে করোনার সংক্রমণ কতটা বিস্তৃতি লাভ করেছে। এর মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যেটি গেল বছরের ভাইরাস থেকে ৭০ গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ আবার আগের মতো ভয়াবহ অবস্থায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। দেশে করোনার ইউকে ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত রোগী থাকায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এ সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

দেশে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি যেন থামছেই না। প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৪ জন। এর আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮০৯ জন। একদিনের ব্যবধানে

রোগী বেড়েছে ৭৪৫ জন। দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এতে করে দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও আগের মতো ভয়াবহ অবস্থায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এসব রোগী ছিল ঢাকা ও মাদারীপুর জেলার। প্রথমদিকে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুরকে ক্লাস্টার এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সংক্রমণ রোধে ক্লাস্টার এরিয়া লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। লকডাউন করার পর ক্লাস্টার এরিয়া মাদারীপুরে সংক্রমণ বিস্তার বেশি না হলেও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এর পর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ বিভিন্ন স্থানে গমন করায় সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। এর পর করোনার সংক্রমণ বেড়ে মে-জুন-জুলাই মাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়। ওই সময় দিনে ৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হতো এবং ৫০-৬০ জনের মতো মারা যেত। কিছুদিন একই অবস্থায় থেকে আগস্ট মাসের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এর পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে করোনা রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশে নেমে আসে। শীতের আগমন ঘটার আগ থেকেই অর্থাৎ নভেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে এবং নভেম্বরে করোনার রোগী শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ পৌঁছে। এর পর কিছুদিন সংক্রমণ উঠানামা করে ডিসেম্বরের শেষ দিকে আবারও কমতে শুরু করে এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সংক্রমণ হার ২ থেকে ৩ শতাংশর মধ্যে অবস্থান করে। কিন্তু মার্চ মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকে। গতকাল সংক্রমণ বেড়ে ১৩ দশমিক ১২ শতাংশে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, ইউকে ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ করার ক্ষমতা মূল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, করোনার মূল স্ট্রেইনের চেয়ে এটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে মার্চে ১৪-১৫ জনের শরীরে যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে এ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের সংস্পর্শে আসা লোকের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। ইউকে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আগে তরুণদের সংক্রমিত হওয়ার হার কম হলেও এখন শিশু ও তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে অনেক বেশি। যেহেতু দেশে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এখন দরকার একে ভালোভাবে স্টাডি করা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা বেড়ে আগের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বা তার থেকেও বেশি ছড়িয়ে যেতে পারে। এমনটি হতে পারে দু-তিনটি কারণে। প্রথম কারণটি হচ্ছে দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা ইউকে ভ্যারিয়েন্টের রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট খুবই শক্তিশালী ও দ্রুত ছড়ায়, অন্য দেশগুলোতে খুবই দ্রুত ছড়াচ্ছে। আমাদের দেশেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আমাদের যে ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় সেটি ভালোভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর পরিবেশ পেয়েছে। এখন অনেক বিয়েশাদি বাড়ছে, জনসমাবেশ বাড়ছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে লাখ-লাখ মানুষ যাচ্ছে। এক কথায় করোনার সংক্রমণের জন্য পরিবেশটা বেশ উপযুক্ত। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে সংক্রমণটা কেন বাড়ছে, সেটি নিয়ে গবেষণা দরকার। তিনি আরও বলেন, আরেকটি সমস্যা হচ্ছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিক রাখতে এখন যে অবস্থা আছে সরকার সেই অবস্থা থেকে সরিয়ে আসতে চাইবে না। এখন বইমেলা চলছে সেখানে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হচ্ছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে বলছি বইমেলা বন্ধ রাখতে, কিন্ত সেটি আমলে নেওয়া হচ্ছে না। বইমেলার কারণে যেমন সংক্রমণ বাড়বে, আবার এ ধরনের মেলা দেখে মানুষ ভাববে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এটি দেশের বিভিন্ন স্থানে বইমেলা না বাড়ালেও জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠানের আয়োজনে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। মানুষ এ ধরনের অনুষ্ঠান দেখে স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে যেতে পারে। যেটি সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে দায়ী।

অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো এখন নেওয়া হচ্ছে না। যেমন দেশে করোনার টেস্টিং, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন কঠোরভাবে করা দরকার, সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। এ ছাড়া সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক জোনিং পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে আমরা খারাপের দিকে যাচ্ছি।

অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এবারের সংক্রমণের তীব্রতা যুবকদের মধ্যে বেশি। আমাদের যুব জনগোষ্ঠী যেহেতু বেশি, তারা যদি বেশি আক্রান্ত হয় তা হলে হাসপাতালে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এতে করে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়বে। এতে করে ঝুঁকি বাড়বে শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে, যেমন এক বছর হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সামনের দিকে স্কুল-কলেজ খোলা যাবে না, অনেক কলকারখানা বন্ধ করতে হবে। আমাদের আশঙ্কা সামনের দিকে আমরা খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের মতো বা তার থেকেও খারাপ হতে পারে। আমাদের সাবধান হতে হবে, সরকারকে কঠোর হতে হবে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গৃহীত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, করোনার সংক্রমণ দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। গেল বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ কমে আসে। এর পর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। এখন আবার বাড়ছে। এ বাড়ার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিনসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অনেক মানুষের সমাগম হচ্ছে, পরিবহনে মানুষের চলাচল বেড়েছে, হাট-বাজারে মানুষের জটলা বেড়েছে, বিয়েশাদি, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়েছে। এগুলো বন্ধ হলে সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে যেত, তা তো হচ্ছে না। ফলে করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে তা বলা মুশকিল। রোগী যেহেতু বাড়ছে এখন আগের মতো পরিস্থিতি হবে, না তার থেকে বেশি হবে তা এখনি বলা যাবে না। সংক্রমণ আগের মতো হতে পারে বা তার থেকে বেশিও হতে পারে।

ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। সাধারণত পিসিআর টেস্ট করে কোভিড পজেটিভ-নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। ফল পাওয়ার পর সংক্রমণ কোনো ভাইরাস অর্থাৎ আগের ভাইরাস, নাকি নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা ছড়িয়েছে তা জানতে গবেষণা দরকার। যদি নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকে তা হলে দ্রুত সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে। কারণ ইউকে যে ভ্যারিয়েন্ট তার সংক্রমণ শক্তি খুবই বেশি এবং এটা যুবকদের বেশি সংক্রমিত করে।

তিনি আরও বলেন, করোনার এ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের বেলায় আগের যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছিল সেগুলোই করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির ৩ নম্বরটা কোনোভাবেই মানানো যাচ্ছে না, এটি মানতে হবে। এর মধ্যে আছে মানুষের জটলা বন্ধ করা, পর্যটন কেন্দ্রে মানুষকে ভিড় করতে না দেওয়া, বিয়েশাদির অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা, পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল করা, মসজিদে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে নামাজ পড়া ও যারা মাস্ক পরে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের কঠোর হতে হবে।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩৫৫৪ জন, মৃত্যু ১৮ জনের

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জন। মোট নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ জন এবং নারী ৬ জন। মৃতদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছে। মৃতদের অঞ্চল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন ও রংপুরে ১ জন রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৪১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫০ জন, রংপুরে ৬ জন, খুলনায় ২ জন, বরিশালে ১৬ জন, রাজশাহীতে ৩৮ জন, সিলেটে ৯ জন ও ময়মনসিংহে ৪ জন রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১৫৮ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৪৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ৫০ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৬৩৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৩ হাজার ৬৯২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল সারা দেশে টিকা নিয়েছে ৭৮ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে ৩ জনের শরীরের মৃদু পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অঞ্চলভিত্তিক তথ্য বলছে, গতকাল টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১ হাজার ৯২১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ হাজার ৬০৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫ হাজার ৩১৮ জন, রাজশাহীতে ১১ হাজার ৩৩ জন, রংপুরে ১১ হাজার ৮৫৮ জন, খুলনায় ৬ হাজার ৪৫৪ জন, বরিশালে ৪ হাজার ১১৭ জন এবং সিলেটে ২ হাজার ২৩ জন রয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৩২ জন। এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৯২০ জনের শরীরে মৃদু পাশর্^প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের পরই সুরক্ষা প্ল্যাটফরমে টিকার নিবন্ধন শুরু করা হয়। ওইদিন থেকে গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৭ জন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন