দোকান–শপিং মল খুলেছে, রাস্তায় বেড়েছে ভিড়

1397
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলা লকডাউনের মধ্যেই সারা দেশে আজ রোববার দোকানপাট ও শপিং মল খুলেছে। টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ খুলল দোকান ও শপিং মল। রাজধানীর রাস্তাগুলোয় আজ সকাল থেকেই ভিড় বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা গেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে সকাল ১০টার সময় শত শত মানুষকে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গাদাগাদি করে ভ্যানে করে অনেকেই গন্তব্যস্থলে রওনা দিয়েছেন। একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর সুপারমার্কেটের সামনে। সেখানে রীতিমতো যানজট দেখা দিয়েছে। গুলিস্তান ফিরে গেছে পুরোনো রূপে। ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন হকাররা।

গুলিস্তান মোড়ে যান চলাচল বেড়েছে। পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডে মানুষের ভিড় বেড়েছে অনেক। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।

যাত্রাবাড়ীর তাজ সুপারমার্কেটে শতাধিক দোকান খোলা দেখা গেছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম। সেখানকার বিক্রয়কর্মী ইব্রাহিম বলেন, টানা ১১ দিন বন্ধের পর আজ তাঁরা দোকান খুলেছেন। এখনো ঈদের বাকি আছে অনেক দিন। আশা করছেন বাকি দিনগুলোতে ক্রেতা পাবেন।

যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে কোনো পরিবহন না পেয়ে একটি ভ্যানে উঠেছেন আব্দুল হাকিম। ওই একই ভ্যানে আরও ছয়জন উঠে পড়েন। পরে ভ্যানটি পুরান ঢাকার দিকে রওনা হয়।

আব্দুল হাকিম বলেন, টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর দোকান খুলেছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু রাস্তায় বাসসহ যানবাহনের সংখ্যা কম। বাধ্য হয়েই তিনি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভ্যানে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে তিনি নিজেও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা তিনি দেখছেন না।

রাজধানী বঙ্গবাজারে এনেক্স সুপারমার্কেটে দেখা গেল, দোকানপাট সব খোলা, কিন্তু ক্রেতা নেই। সেখানকার হাওলাদার গার্মেন্টসের বিক্রয়কর্মী সাগর বলেন, অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবার তাঁরা দোকান খুলেছেন।

তবে কোনো ক্রেতা নেই। এটি পাইকারি বাজার। তাই তিনি আশা করছেন, দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে। তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে। তাঁরা মাস্ক পরেছেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। ক্রেতারাও যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করেন, সে ব্যাপারে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন