রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজের শান্তিপূণ কর্মসূচী ঘোষণা

1857
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সকল প্রকার বিভ্রান্তি এবং আল্লাহর আজাব-গজব ও ক্ষতি থেকে বাঁচার লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থার অধীনে থেকে ইসলামের ধর্মীয় কতিপয় আমল করে জান্নাত লাভের আশা করা এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা কিংবা যে কোন উগ্রপন্থা গস্খহণ করা মূলতঃ বিভ্রান্তিমূলক অপতৎপরতা।

তিনি আরো বলেন- মানুষের সার্বভৌমত্বেও অধীনে থেকে মানব রচিত ব্যবস্থার আইন-বিধান পালনের কারণেই বিশ্বেও মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকম আজাব-গযবের শিকার হয়ে দুনিয়ার জীবনে চরম দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে এবং তাদেও আখেরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে। আর এসবই মহাক্ষতি। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ জনিত মহামারিসহ অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঘূর্নিঝড়, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, দাবানল এবং অর্থসম্পদের মোহসহ ক্ষমতা ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে দ্বন্ধ, সংঘাত ও সংঘর্ষ ইত্যাদি মূলত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব।

সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি এবং সকল প্রকার আযাব-গজব ও ক্ষতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে- সমাজ ও রাষ্ট্রগঠন এবং পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান, কর্তৃত্ব ত্যাগ ও অস্বীকার করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর মেনে ‘রাব্বুনাল্লাহুবা আল্লাহু আকবার’ ঘোষণা করা। মানুষের দাসত্ব, মানুষের মন গড়া আইনের আনুগত্য ও গাইরুল্লাহর উপাসনা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব, তাঁরই আইনের আনুগত্য ও উপাসনা গ্রহন করে‘ আশ্হাদুআল্লাইলাহাইল্লাল্লাহু’ সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করা।

তিনি বলেন, মানুষের মন গড়া আইনের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের আনুগত্য ত্যাগ কওে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনেরসকল ক্ষেত্রে শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর গ্রহন করে‘ আশ্হাদুআন্নামুহাম্মাদাররাসুলুল্লাহু’ সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করা। মানুষের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান কারীএকমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বেও ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নিকট আনুগত্যেও বায়াত গ্রহন করা এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলির ভিত্তিতে নিজের সময় ও অর্থ কুরবানির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমলসহ অন্য সকল ধারাবাহিক আমল গুলো করতে থাকা।

দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সকল প্রকার আজাব-গৎব এবং নানান বিভ্রান্তি ও ক্ষতি থেকে বাঁচার লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহবান জানিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকায় ইসলামী সমাজের ৬টি অফিস কেন্দ্রীক দাওয়াতী কাজের টিম সমূূূহের তালিকা প্রকাশ করেন ও গণসংযোগ, লিফলেট ও সীমিত আকারে পথসভা করার কর্মসূচী ঘোষণা করেন।

মানববন্ধনে ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ ইফসুফ আলী ও সোলায়মান কবীর প্রমূখ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন