গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনির প্রেম!

1989
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ডে আছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তিনি। তা নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে পরীমনিকে নিয়ে।

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে তদন্তের খাতিরে পরিচয় পরীমনির। নিয়মিত কথা বলতে গিয়ে তৈরি হয়েছে প্রেমের সম্পর্ক। প্রায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন তারা। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন পরীমনি। পাওয়া গেছে সিসিটিভির ফুটেজও।

ওই কর্মকর্তার নাম গোলাম সাকলায়েন শিথিল। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত। রাজাবাগ অফিসার্স কলোনীর মধুমতি ভবনের ৯/সি সরকারি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সবশেষ গত ১ আগস্ট ওই ফ্ল্যাটেই গিয়েছিলেন পরীমনি। ১৮ ঘন্টা ওই বাসায় অবস্থান করেছিলেন পরীমনি ও সাকলায়েন। জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেছেন এ নায়িকা।

ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার তদন্তের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাকলায়েন। তার সঙ্গে পরীমনির সম্পর্কের খোঁজ পাওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তরে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ১ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। পরীমনির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি থামে মধুমতি ভবনের সামনে। এরপর সাদা রংয়ের স্লিপিং গাউন পরে নামেন পরীমনি। নায়িকার কোলে ছিল তার পোষা কুকুরটি। বাসভবনের নিচে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে বাসার চাবি নেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর দুজন লিফটে করে বাসায় যান। এরপর পরীর গাড়ি থেকে একটি ট্রলি ব্যাগও ওই বাসায় নেওয়া হয়।

এরপর রাত দেড়টার দিকে আবারও ওই বাসার সামনে আসে পরীর গাড়ি। রাত সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে নীচে নেমে আসেন পরীমনি। তার সঙ্গে ছিল পোষা কুকুর আর ট্রলি ব্যাগ। সকালে পরীমনির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক আর সাকলায়েনের পরনে ছিল সাদা টিশার্ট।

সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতেন পরীমনির সহযোগী দীপু। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, পরীমনিই তাকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন। সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছেন। পরে জানা যায় তিনি বিবাহিত। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পরীমনি।

জানা গেছে, সাকলায়েনের স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি জেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।

পরীমনির গাড়িচালক নাজির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১ আগস্ট পরীমনিকে রাজারবাগের সরকারি কোয়ার্টারে নামিয়ে দিয়ে আসেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনি দুই দিন রাতে হাতিরঝিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসেই তারা মদ খেয়েছেন।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে গোলাম সাকলায়েন শিথিল সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তবে তা প্রেমের সম্পর্ক নয় এবং তারা বিয়েও করেননি। তার ভাষায়, ‘পরীমনির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। পরীমনিকে আমি বিয়ে করিনি। আমি কার সাথে ঘুরবো না ঘুরবো, সেটা এভাবে নিউজে আসবে কেন? বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। পরীমনি এই মুহূর্তে ডিবি কার্যালয়ে আছে সেখানেও তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।’

শেয়ার করতে ক্লিক করুন