করোনায় শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ

2006
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনায় আয় কমার পাশাপাশি বেড়েছে দারিদ্র্যের সংখ্যাও। ফলে, সংসারের ঘানি টানতে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি হাশেম কারখানায় নিহত শ্রমিকদের বড় একটি অংশই শিশু হওয়ায়… তা হয়েছে আরও স্পষ্ট। তাদের মত, ২০২৫ সাল নাগাদ শিশু শ্রম নিরসনের যে পরিকল্পনা দুই দশক ধরে চলছে তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ সরকার।

করোনার প্রকোপে কর্মহীন বাবা, সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়ে শিশু শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়েছে রবিউল। মেরামতির কারখানায় ব্যস্ততাই তার নিত্যদিনের সংগ্রাম। জীবনযুদ্ধের অন্ধকার চোরাগলিতে এই পথচলা অষ্টম শ্রেনীতে পড়া রবিউল ইচ্ছে করে বেছে নেয়নি।

দুরন্ত শৈশবকে পেছনে ফেলে দেশে রবিউলের মত অনেক শিশু পেটের দায়ে শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়েছে তার কোন সাম্প্রতিক তথ্য নেই। বিবিএসের সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান তাও ৮ বছরের পুরনো। এতে দেখা যায়, সেসময় দেশে প্রায় ৩৫ লাখ শিশু বিভিন্ন পেশায় কাজ করত। তবে বিশ্লেষকদের মতে, করোনায় সেই সংখ্যাটাই যে বেড়েছে বহুগুণে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

দেশে ঝুকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে বিভিন্ন ধাপে প্রকল্প চলছে প্রায় ২ দশক ধরে। ২০১৮ সালে যার চতুর্থ পর্যায় বাস্তবায়নে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পটি শেষ হবার কথা এ বছর। তবে সম্প্রতি হাশেম কারখানায় নিহত শ্রমিকদের বড় একটি অংশই শিশু হওয়ায় প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অংশ হিসেবে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশ থেকে সম্পূর্নরুপে শিশু শ্রম নিরসনের পরিকল্পনা সরকারের।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন