‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন পরীমণি, কারাগারে আটক রাখার আবেদন

2011
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

মাদক মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নায়িকা পরীমণিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা।

আজ শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার পর পরীমণিকে সিআইডি কার্যালয়ে থেকে রিমান্ড শেষে আদালতের হাজত খানায় আনা হয়।

আটক রাখার আবেদনে পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ডে পরীমণি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন। তাই এ আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে পালাতে পারেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। তার আগে ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

মাদক মামলায় গেল ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গেল ৪ আগস্ট পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে তারা। তার ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। পরদিন বিকেলে পরীমণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ এবং তাদের দুই সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু ও মো. সবুজ আলীকে বনানী থানায় সোপর্দ করে র‍্যাব।

এরপর র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷

শেয়ার করতে ক্লিক করুন