গ্রেনেড হামলার আসামিরা এখনো বিদেশে

1507
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের বর্বরতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নেই ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনার উপর যত হামলা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ছিলো এটি।

প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সুপরিকল্পিতভাবে করা সেই হামলা মামলার ১৭ বছর পার হলেও মামলার আসামিরা এখনো বিদেশে অবস্থান করছে। এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি তারেক রহমান ও বিএনপির সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ নতুন করে জারি করাতে পারেনি পুলিশ সদরদপ্তর।

ইন্টারপোল জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিরা প্রটেকটিভ স্টেটাসে থাকায় রেড নোটিশ মুছে ফেলা হয়েছে। এদিকে হারিস চৌধুরীসহ বাকি ৪ জনের রেড নোটিশের মেয়াদ বাড়ানো হলেও তাদের অবস্থান জানা যায়নি।

বিদেশে পলাতক ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ছয় আসামিকে ধরতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। ২০১৫ সালের এপ্রিলে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয় তারেক রহমানসহ ৬ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে।

কিন্তু প্রটেকটিভ স্ট্যাটাসে থাকায় তারেক রহমানের ইন্টারপোল রেড নোটিশটি ২৬ জানুয়ারী ২০১৬ তে বাতিল হয়। একই ধারায় শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এর নোটিশ বাতিল হয় ২০১৮ এর মে মাসে। বার বার চিঠি দিলেও প্রোটেকটিভ স্টেটাস থাকায় নতুন করে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করা যায়নি, বলছে পুলিশ।

২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিদেশে পলাতক বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ বহাল রয়েছে। এরা হলেন আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন মিয়া যার রেড নোটিস ২১ আগষ্ট ২০১৭ তারিখে ০৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

হারিছ চৌধুরীর রেডনোটিশের মেয়াদ ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখে ০৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাবু রাতুল আহমেদ এর অবস্থান শনাক্তে নোটিশ জারি করা হয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে ।

আর আলহাজ্ব মোহাম্মদ হানিফের অবস্থান শনাক্তে ৯ জানুয়ারী, ২০১৯ এ রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে তাজউদ্দিন মিয়ার সম্ভাব্য অবস্থান পাকিস্তানে। হারিছ চৌধুরী মালয়েশিয়া বা ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

বাবু রাতুল আহমেদের সম্ভাব্য অবস্থান ইটালী বা সাউথ আফ্রিকা এবং মোহাম্মদ হানিফ থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় থাকতে পারেন। গোয়েন্দাদের ধারনা, মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে পালিয়ে আছেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১০ বছর যাবত অবস্থান করছেন লন্ডনে।

তবে, বিদেশে পলাতক এই আসামিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তেমন কোন আশার বাণী শোনাতে পারছে না পুলিশ সদর দপ্তর। ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হওয়ায়, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে, বলছে পুলিশ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন