করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, বিজ্ঞানীরা দিলেন ভয়ংকর তথ্য

2090
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট তারা শনাক্ত করেছে। সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, যেটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মিউটেশন হয়েছে বলে জানিয়েছে আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। এছাড়া এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

সি.১.২ নামের করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার এমপুমালাঙ্গা এবং গুটাং প্রদেশে। এদিকে ১৩ আগস্ট বিজ্ঞানীদের এক গবেষণাপত্রে পাওয়া গেছে এই ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ প্রিটোরিয়াসহ ৬ প্রদেশ এবং কঙ্গো, মৌরিতাস, পর্তুগাল, নিউজিল্যান্ড এবং সুজারল্যান্ডেও শনাক্ত হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিক্যাবল ডিজিস এবং কোয়াজুলু-নাটাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্লাটফর্মের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে গবেষণাটি এখনও প্রিপ্রিন্ট পর্যায়ে রয়েছে। এটি পিয়ার রিভিউর অপেক্ষায় রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যাধিক সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবল ক্ষমতা এদের রয়েছে।

মহামারি করোনা ভাইরাস চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। সব ভাইরাসই সময়ের সঙ্গে স্বভাবতই বদলাতে থাকে, সার্স-কোভিড-২ এক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নয়। ২০২০ সালের শুরুর দিকে যখন এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়, তারপর এটির হাজার হাজার মিউটেশন হয়েছে।

মিউটেশনের মাধ্যমে এভাবে যে পরিবর্তিত ভাইরাস তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম বা একেবারে কোন প্রভাবই আসলে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে এটি বিলুপ্তও হয়ে যায়। কিন্তু কোন কোন মিউটেশন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

এর আগে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হুমকি বলে মনে করা হচ্ছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই ভারতে এপ্রিল এবং মে মাসে করোনাভাইরাসের মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছিল। এরপর এটি এখন যুক্তরাজ্যেও সবচেয়ে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।

বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, আফ্রিকা, স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে। যুক্তরাজ্য থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, যারা টিকা নেয়নি, তারা এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে, তাদের মারাত্মক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া এই সি.১.২ নামের করোনা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি মিউটেশন হয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন