বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের নির্যাতনকারী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। যে আওয়ামী লীগ এক সময় জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, যুদ্ধ করেছে। সেই আওয়ামী লীগ এখন পুরোপুরিভাবে গোটা দেশের জনগণকে শোষণকারী ও নির্যাতনকারী দলে পরিণত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘জনগণের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তাদের (আওয়ামী লীগ) কোনো সম্পর্কই নেই। এখানে বহুদলীয় একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে। এই জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ সরে গিয়ে একনায়কতন্ত্র কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগকে তো ক্ষমা করা যায় না, এজন্য যে তারা জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, জনগণের যে ইচ্ছা, জনগণের যে মালিকানা সেটা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। কয়েক জন ব্যক্তি এবং কয়েকটা আমলার সঙ্গে যোগসাজস করে দেশকে তারা শোষণ করছে।’
খালেদার জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও মামলা থেকে অব্যাহতি দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাঁকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছি। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়স্ক নারী, জামিন পাওয়া তাঁর জন্য ফরজ। তাঁর যে অধিকার, সেখান থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তালেবান ইস্যুতে আমি খুব বেশি কথা বলি না। এটা আফগানিস্তানের ব্যাপার। তবে একটা জিনিস আমি খুব জোর দিয়ে বলতে চাই যে, কোনো জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ—এটা আমরা সমর্থন করি না। আমরা আশা করব, আফগানিস্তানে যে সরকার এসেছে, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে, মানুষের অধিকারগুলো মূল্যায়ন করবে।’
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিন দিনের সাংগঠনিক সফর শেষে মির্জা ফখরুল আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশে ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করেন।