জনশুমারি শুরু নিয়ে সংশয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরো

1363
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

জনশুমারির জন্য প্রায় চার লাখ ট্যাব কিনতে আবারো দরপত্র আহ্বান করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। তবে, এরইমধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায়, চলতি বছর শুমারি শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, যেসব কাজ বাকি আছে তা খানিকটা সময়সাপেক্ষ। প্রথম ধাপে এই কার্যক্রমে অংশ নেয়া দুই প্রতিষ্ঠানই মনে করছে, সবারই সক্ষমতা আছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহের।

দেশের মোট জনসংখ্যা, পরিবারপ্রতি আয়, পেশাভিত্তিক কর্মী কিংবা প্রবাসী… এমন প্রায় ত্রিশ ধরনের তথ্য মেলে জনশুমারি আর গৃহগণনায়। দশ বছর পরপর হয় এই শুমারি। ২০১১ সালের পর, চলতি বছর জানুয়ারিতে এই কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ছিলো সরকারের। কিন্তু করোনায় তা নয় মাস পিছিয়ে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে নির্ধারণ করা হলেও, শুরু করা যাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যেও।

এবার শতভাগ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরো ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার দরপত্র আহ্বান করে গেল জুনে। প্রাথমিকভাবে আটটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কেনে। যদিও শর্ত মেনে শুধু স্যামসাং এর স্থানীয় প্রস্তুতকারক ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স আর ওয়ালটন ডিজি টেক তা জমা দেয়া। এরমধ্যে ওয়ালটন দর দেয় ৪০২ কোটি টাকা। আর ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স দেয় ৫৪৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ফেয়ারকে ক্রয় আদেশ দেয়ার সুপারিশ করে। যদিও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা বাতিল করে, নতুন করে দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেয়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন করে আহ্বান করা হয় দরপত্র। আগের কার্যক্রমে অংশ নেয়া দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী, শর্ত মেনে চেষ্টা থাকবে জয়ী হওয়ার। তবে, দরপত্রের পর মূল্যায়ন, সরকারি ক্রয় কমিটিতে উত্থাপন এবং অনুমোদনের জন্য লাগবে লম্বা সময়। তাছাড়া, সময় হাতে রাখতে হবে পণ্য সরবরাহের জন্যও। ফলে, এই বছর জরিপ শুরু হওয়া সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এই জরিপের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় থেকে শুরু করে অর্থনীতির প্রায় সব সূচকের তথ্য জানা যায়।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন