আফগানিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত অন্তত সাত

1705
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

আফগানিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা, নিহত অন্তত সাত
আফগানিস্তানের পূর্বের শহর জালালাবাদের পৃথক বিস্ফোরণে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

তালেবান সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায় এসব বিচ্ছিন্ন বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার পরিকল্পিতভাবে এই পেতে রাখা এই বোমাগুলো বিস্ফোরিত হয়। আইএসকে খোরাসান এই হামলা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তালেবান। তালেবানের উচ্চপদস্থ একজন নেতা জানান, এই বিষয়ে তালেবানদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে।

আরেক সূত্র জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে তালেবান সদস্যরাও রয়েছে। তালেবানের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ১৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে।

কিছুদিন আগেই তালেবান নেতা মোল্লাহ বারাদার যাকে ঘোষিত সুপ্রিম লিডার মোল্লা আখুনজাদার ডেপুটি ঘোষণা করা হয় মৃত্যুর গুজব উঠেছিল। পরে ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, তার মৃত্যুর খবর গুজব।

এদিকে ব্লুমবার্গ জানাচ্ছে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে মন্ত্রীসভা গঠন নিয়ে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সরকার গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং তালেবান গোষ্ঠীর সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদারসহ অন্য প্রভাবশালী নেতারা। মন্ত্রিসভা কেমন হবে তা নিয়ে চলছে গভীর আলোচনা।

সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানায়, ওই বৈঠকে বারদার জোর দেন তালেবানের বাইরে থেকেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য আফগানিস্তানের এমন নেতৃত্বকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শামিল করার জন্যে। ওই বৈঠকে বারাদার আরও বলেন, মন্ত্রিসভায় আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু উপজাতি নেতার শামিল করতে হবে।

এমন সময় নিজের চেয়ার ছেড়ে বারাদারের দিকে তেড়ে যান হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান এবং আফগানিস্তানের মন্ত্রী খলিলুর রহমান হক্কানি। তারপরেই আচমকা ঘুষি মারতেন মোল্লা বারাদারকে। এদিকে বারাদারকে ঘুষি মারার পর হাক্কানিদের দিকে বন্দুক তাক করেন বারাদারের নিরাপত্তারক্ষীরা।

এদিকে পাল্টা হাক্কানির নিরাপত্তারক্ষীরাও গুলি চালাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর। মন্ত্রিসভা ঠিক করার বৈঠকে এমন গোলাগুলিতে থেমে যায় বৈঠক। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে বেরিয়ে যান বারাদার।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন