অন্যায় কিছু করিনি, ব্যবসা করেছি: রিমান্ডে রাসেল

1928
ইভ্যালির সিইও রাসেল
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক গ্রাহকের করা প্রতারণা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের শেষ দিন সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাসেল পুলিশকে বলেন, অন্যায় কিছু করিনি, ব্যবসা করেছি।

ইভ্যালির এমডি রাসেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানিয়েছেন, তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। প্রতারণারও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি জানিয়েছেন, গ্রাহক জেনে-বুঝেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করেছেন। যারা ডেলিভারি পাননি ভবিষ্যতে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ইভ্যালিতে প্রতারণার কোনো বিষয় নেই।

রিমান্ডে রাসেল দাবি করেছেন, ইভ্যালির প্রতিটি পণ্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপনের সঙ্গে পণ্য ডেলিভারির বিষয়ে শর্ত দেওয়া থাকে। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো- ‘স্টক থাকা পর্যন্ত’। অনেক সময় স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি। যাদের পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেননি, তাদের টাকা রিফান্ড করেছেন। অনেকের রিফান্ড প্রক্রিয়াধীন, কিছুটা দেরি হলেও তারা টাকা পাবেন।

রাসেল এ সময় আরও বলেন, এখন সবাই জিজ্ঞাসা করছে আমি এত টাকা দিয়ে কী করেছি। ছাড় মূল্যে পণ্য বিক্রি ছাড়া বিজ্ঞাপনেও অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবুও, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব, যদি আপনারা পারেন তাহলে আমি বিদেশে অর্থ পাচার করেছি কি-না তা খুঁজে বের করুন।

এদিকে, পুলিশ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেশ এবং দেশের বাইরে থাকা সম্পদের তথ্যও খুঁজছে।

উল্লেখ্য, তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার পুলিশ রাসেল ও তার স্ত্রীকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন