চিত্রনায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী দুই বিচারককে পুনরায় ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সময় অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মূলত প্রশিক্ষণের অভাবে প্রথমবার দুই বিচারক যথাযথভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত ফেরত দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক কাজী মোস্তাফা কামালকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি পুলিশ দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত তাকে (পরীমনিকে) ফেরত দেওয়ার সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, যদি পরীমনিকে তার জব্দকরা আলামত ফেরত দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে মামলার তদন্তে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
এর আগে নায়িকার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরীমনির মামলায় তার ব্যক্তিগত গাড়ি, আইফোনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মোট ১৬ প্রকারের জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। গাড়িসহ অন্যান্য আলামত ফেরত চেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করা হয়। আদালত মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিত্রনায়িকা পরীমনির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা অন্যান্য আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
তার আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমনি।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে র্যাব। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল।
আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।