সব শঙ্কা উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াল দেশের গার্মেন্ট শিল্প

1611
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনার স্থবিরতার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও গত অর্থবছরে প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড। লকডাউনের মাঝেও ঝুঁকি নিয়ে গার্মেন্ট খোলা রাখার কারণেই এ প্রবৃদ্ধি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বাংলাদেশের সব গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের এখন একই চিত্র। দিনরাত সমানতালে চলছে উৎপাদন প্রক্রিয়া। করোনা স্থবিরতার মাঝে গার্মেন্ট শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়ার যে শঙ্কা ছিল তা পুরোপুরি কেটে গেছে। বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্ডার আসতে থাকায় আগে থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্ট কারখানাগুলো এখন খুলতে শুরু করেছে।

বিজিএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গত বছর করোনার সময়ে উৎপাদন করেছি। সে জন্য ওই সময় ভালো একটা সাপোর্টও পেয়েছি।

প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর জানান, অর্ডার যদি প্রতিনিয়ত আসছে থাকে, তাহলে সব প্রতিষ্ঠানও চালু রাখা সম্ভব হবে।

করোনার স্থবিরতা কাটাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও হয়েছে ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও তা আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি। মূলত ফল এবং হলিডে মৌসুমে তেমন অর্ডার না আসলেও স্প্রিং সামার মৌসুমের জন্যই বিদেশি ক্রেতারা বেশি অর্ডার দিচ্ছেন।

বিজিএমইএ প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ইউরোপের যেসব দেশ আমাদের পণ্য ক্রয় করে। দীর্ঘ করোনা মহামারি কারনে বন্ধ থাকা যেসব প্রতিষ্ঠান এখন খুলতে শুরু করেছে। এ জন্য পণ্য চাহিদা বেড়েছে গেছে। আশা করছি, আগের তুলনায় অর্ডারের সংখ্যাও বাড়বে।

করোনা সংক্রমণের শুরুতে বাংলাদেশে লকডাউন দেওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গার্মেন্টস খাত। ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। তবে বিশ্বব্যাপী নানা জটিলতায় বাংলাদেশে বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডার আসার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তা ধরে রাখা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

দেশে এক হাজার ৬০০টি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান পুরোদমে সচল রয়েছে। আর চলতি অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া স্প্রিং সামার মৌসুমের তৈরি পোশাক আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন