জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

1193
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে এখনই তাদের করণীয় ঠিক করতে হবে। শুধু অভিযোজন নয়, জলবায়ুর ক্ষতির প্রভাব কমাতে উচ্চাভিলাষী প্রশমন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া জলবায়ুর কারণে বিপন্ন জনগোষ্ঠীর বৈশ্বিক দায়ও স্বীকার করতে হবে।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে গ্লাসগোতে স্কটিশ পার্লামেন্টে জলবায়ু বিষয়ক এক সেশনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে তার সরকার বাংলাদেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় সম্মেলন কপ টুয়েন্টি সিক্স এর এবারের আসরে মূল পর্বে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম বা ভুক্তভোগী দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্কটল্যান্ডে বেশকিছু সাইড লাইন ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি শীর্ষক এক বিশেষ সেশনের আয়োজন হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মূল বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্কটিশ পার্লামেন্ট।

এ অনুষ্ঠানে ছোট বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সিভিএফের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ উপস্থিত ছিলেন স্কটিশ পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি এমপি ফয়সল চৌধুরী।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের করণীয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ কম হয় এমন প্রযুক্তিতে এগোতে চায় তার দেশ। বিশ্বনেতাদের এক হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্যোগ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানান সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাবিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সসমাধান করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে। এছাড়া আরও অতিরিক্ত ১.১ মিলিয়ন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বোঝা যোগ হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

এর আগে স্থানীয় সময় বিকেলে কপ টুয়েন্টি সিক্স এর সম্মেলন স্থলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন দুই শীর্ষ নেতা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন