তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: কাদের

964
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর নিজ বাসভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন ডা. মুরাদ। যা নিয়ে দেশজুড়ে সব মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। ফলে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। এজন্য তাকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন নারী অধিকারকর্মী, বিএনপি থেকে শুরু করে সরকারদলীয় প্রভাবশালী অনেক নেতা। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এমনকি অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন এ সাংসদ। বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুরাদ হাসান।

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী।

এরপর থেকেই মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।

ভাইরাল হওয়া সেই অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেন চিত্রনায়ক ইমন। ইমন বলেন, ‘যা শুনেছেন তাই। এটি আসলে বছরখানেক আগের ঘটনা। একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে প্রতিমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। বাকিটা তো আপনারা শুনেছেনই।’

ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন এ রাজনীতিবিদ। পরে ২০১৯ সালের মে’তে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন