বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীতে লাখো মানুষের স্রোত নামিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে অজস্র মিছিলের স্রোত এসে মিশেছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। পুরো রাজধানীই পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে।
৫০ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেস্থানে পাক হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছিল ঠিক সেই স্থানটির সামনে থেকেই শোভাযাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ। বিজয় শোভাযাত্রা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটের সামনে রাস্তায় খোলা ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এ কর্মসূচিতে নেমেছিল মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের ঢল।
ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি স্থান থেকে একযোগে বিজয় শোভাযাত্রা করে মিলিত হয় সোহরাওয়ার্দীর সামনে। অজস্র মিছিলের স্রোতে দুপুর ২টার আগেই শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বিজয় শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা, ডামি রাইফেল, কামান, ট্যাঙ্কসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের রণসজ্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উল্লাসসহ বিভিন্ন ডামি প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের বাড়তি মনযোগ আকর্ষণ করে। শোভাযাত্রায় থাকা বিভিন্ন ট্রাকে লাগানো মাইকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেশ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় এর ছবি সম্বলিত পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্বাধীনতা আর বিজয়ের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চারদিক। একইসঙ্গে লাল-সবুজ টি-শার্ট, ক্যাপ, শাড়ি পরে, হাতে নৌকা, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে, নেচে-গেয়ে জনতার স্রোত নামে রাজপথে।
তলাবিহীন ঝুড়ির তকমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-সমৃদ্ধির অন্যতম দৃষ্টান্ত। সে কারণেই এবারের বিজয় শোভাযাত্রা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ দলটির কাছে।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বিজয়ের আমেজে অংশগ্রহণ করেন।