লঞ্চে আগুন: ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

941
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও সৌমিত্র সরদার।

একইসাথে হতাহতদের চূড়ান্ত তালিকা দাখিলের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের লঞ্চ জাহাজের সবশেষ আপডেট ৯০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এর আগে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জন্য ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে নৌপরিবহন সচিব, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে।

এদিকে, গেল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে এখনো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন