শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

987
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সংবিধান ও আইনের ‘রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের’ শপথ নেন তিনি।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে নতুন দায়িত্বের শপথ নেন তিনি। সেসময় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়ম অনুযায়ী শপথনামায় সই করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সরকারের তরফ থেকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নাম ঘোষণা করা হয়। শপথ গ্রহণের পর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী শপথ নেওয়ায় আজ থেকেই প্রধান বিচারপতির পদে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নিয়োগ কার্যকর হচ্ছে।

সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।

সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর)। সে হিসেবে বছরের শেষ দিনে অবসরে যাচ্ছেন ২২তম প্রধান বিচারপতি। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) শেষ কর্মদিবস ছিল তার। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিচারাঙ্গণের প্রধান পদে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি।

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করিবেন।’

প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। পরে ২০০৯ সালে হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি এবং ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এই বিচারপতি।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকী এক সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন