৯ বছর ও ৪৭ টেস্টের অপেক্ষার অবসান এবাদতের হাত ধরে

1509
৯ বছর ও ৪৭ টেস্টের অপেক্ষার অবসান এবাদতের হাত ধরে
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

দীর্ঘ নয় বছরের অপেক্ষার পর আবারও ফাইফার কোনও বাংলাদেশি পেসারের। সর্বশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন পেসার রবিউল ইসলাম। এরপর ৪৭ টেস্টের অপেক্ষা। কাছে গিয়েও দেখা মেলেনি ফাইফারের। কিন্তু কে জানতো সেই আক্ষেপ ঘুচাবেন ক্যারিয়ারের প্রথম ১০ টেস্টে ইতিহাস সেরা বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া এবাদত।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই অবসরের ঘোষণা দেয়া রস টেইলরকে বোল্ড করেন এবাদত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি পেসারদের পাঁচ উইকেটের আক্ষেপ ঘোঁচান এবাদত। এর আগে ২০১৩ সালে হারারেতে টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করেন পেসার রবিউল ইসলাম। সেবারও বাংলাদেশের অপেক্ষা ছিল তিন বছরের।

রবিউলের পর বাংলাদেশের হয়ে ৩০টি ফাইফারের ঘটনা ঘটলেও সবগুলোর কীর্তি গড়েছিলেন স্পিনাররা। এবার সে ধারা ভাঙলেন এবাদত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন কোনও বাংলাদেশি পেসার। এর আগে ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার রুবেল হোসেন।

লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার পাঁচ উইকেট শিকার শাহাদাত হোসেনের। আর বাংলাদেশের হয়ে প্রথম পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন পেসার মাঞ্জারুল ইসলাম। দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনও পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এবাদতের। তবে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তার চেয়েও ভালো বোলিং ফিগার রয়েছে একজনের। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ২৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২তম বারের ফাইফারের দেখা পেলো বাংলাদেশি বোলাররা। এছাড়াও পঞ্চম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে এ কীর্তি গড়েন তিনি।

ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্টে এসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করলেন এবাদত হোসেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইতে চার উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছিলেন এবাদত। দিনের শুরুতে আরও দুই উইকেট নিয়ে ফাইফারের পাশাপাশি ছয় উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন এবাদত।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন