পঞ্চাশের বাংলাদেশে পাল্টেছে অপরাধের ধরণ

998
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

অত্যাচার-নির্যাতনের শেকল ভেঙে শান্তিময় দেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে জীবন দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু স্বাধীন ভূখণ্ডে গত পঞ্চাশ বছরে নানা সময় শান্তি বিনষ্ট হয়েছে সন্ত্রাসী তৎপরতায়।

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গড়ে ওঠে এলাকাভিত্তিক গ্যাং কালচার। গজিয়ে ওঠতে থাকে একের পর এক সন্ত্রাসবাহিনী। জড়িয়ে পড়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও টাকার বিনিময়ে খুনের মতো অপরাধের সাথে। তাদের নিয়ন্ত্রণে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্রও। পরে তাদের মোকাবেলায় গঠন করা হয় এলিট ফোর্স র‍্যাব। কথিত ক্রসফায়ারে লাগাম টানা হয় তাদের।

২০০০ সালের শুরু থেকেই দেশে মাথাচড়া দিয়ে উঠতে থাকে জঙ্গিবাদ। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলাম, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবিসহ নিজেদের আস্তিত্বের জানান দেয় বেশ কয়েকটি জঙ্গী সংগঠন। তবে তাদেরকেও প্রতিহত করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, র‍্যাব তার প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের আস্থা নিয়েই বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। আজকে র‍্যাবের অভিযানের ফলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ অনেকটাই শূণ্যের কোঠায় চলে এসেছে।

নতুন শতাব্দীতে এসে পাল্টেছে অপরাধের ধরণ। অপরাধচক্র তাদের ডালপালা ছড়িয়েছে ইন্টারনেট জগতে। বাড়তে থাকে অপতৎপড়তা। অদৃশ্য এসব অপরাধ বন্ধে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে।

সাবেক আইজিপি শহিদুল হক বলেন, আগে ক্ষমতার দাপট দেখানো ছিলো মূল উদ্দেশ্য, যা পাল্টে এখন হয়েছে অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক। মানুষের মধ্যে নীতি- নৈতিকতা এখন ওনেকটা শিথিল হয়ে গেছে, যার ফলে মানুষ অপরাধ করতে কুন্ঠাবোধ করে না।

পঞ্চাশের বাংলাদেশে বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিধি ও সক্ষমতা। তবে নিরাপত্তাবিশ্লেষকরা মনে করেন, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের মূলৎপাটনে আরও প্রশিক্ষণ, আধুনিক সরঞ্জাম বাড়াতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে আইনের প্রয়োগ ও বিচার।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন