ঢাবির আবাসিক হলগুলোতে বাড়ছে করোনাঝুঁকি

992
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে তাল মিলিয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে ঝুঁকি জেনেও অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।
করোনায় দেড় বছর পর গেলো অক্টোবরে খুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি শিক্ষার্থীর কমপক্ষে এক ডোজ করোনার টিকা নেয়ার শর্তের পাশাপাশি মাস্ক, প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিলো উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিনমাস পার হওয়ার আগেই আবারও সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি আবাসিক হলে এখনও অবস্থান করছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী।

আবাসিক হল প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেল স্বাস্থ্য সচেতনতায় উদাসীনতার চিত্র। ছাত্র হলের শিক্ষার্থীদের কোভিডে আক্রান্ত সম্পর্কে জানা না গেলেও ছাত্রীরা সংক্রমনের ঝুঁকি এবং দীর্ঘ ছুটির শংকায় হল ছাড়ছেন।

তবে হল প্রেভোস্ট কমিটির দাবি, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

হল প্রোভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘মাঝে কিছুটা শিথিলতা হয়েছিল এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে হলগুলোতে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হলগুলোতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা খুবই কম। এবং সেখানে দেখাশোনা করার মতো লোকবল নেই। তাই একটা ঝুকিঁ থেকে যায়। ফলে চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় করে রেখেছে।’

প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাত্র ২৪টি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন