তিন বছরে ১৩ সরকারি সংস্থার প্রশ্ন ফাঁস

990
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

তিন বছরে ১৩টি সরকারি সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে মাহমুদুল হাসান, জহিরুল ইসলাম ও মাহবুবা নাসরিন রুপার চক্র। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, এদের একজনের বাংক হিসেবেই মিলেছে কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য। সম্প্রতি রুপা ও মাহমুদুল গ্রেপ্তার হলেও জহিরুল এখনো পলাতক। আগে আলাদা কাজ করলেও পরে একসঙ্গে বড় চক্র গড়ে তোলে তারা।

এভাবেই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছেন এক প্রশ্ন ফাঁসকারী। শেখাচ্ছেন কিভাবে ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে প্রশ্নফাঁস করবেন। ডিভাইসগুলো কোথায় রাখতে হবে।

এরপর চুক্তি হচ্ছে ২২ লাখ টাকার প্রিলি পরীক্ষার অংশ নেয়ার পর দিতে হবে অর্ধেক টাকা। বাকি টাকা চাকরি হলে। পরীক্ষার হলে লোক আছে জানিয়ে বলছেন ধরা পড়ার সুযোগ নেই।

২১ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন অডিটর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রুপাসহ ১০ জন।

দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে প্রশ্নফাঁস চক্রের তথ্য। ডিবির দাবি, ২০১২ সালে প্রশ্নফাঁস চক্র গড়ে তোলে গ্রেপ্তার মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের- সিজিএ এর বরখাস্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ও ঠিকাদার নোমান সিদ্দিকী।

এছাড়াও ময়মনসিংহের রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার জহিরুল ইসলাম ও তার ভাই রাজু গড়ে তোলে আরেকটি চক্র। ২০১৯ সালে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপার। পরে একসঙ্গে প্রশ্নফাঁস শুরু করে তারা।

মাহমুদুল, রুপা, জহিরুলরা গত ৩ বছরে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরসহ ১৩ সরকারি সংস্থার প্রশ্নফাঁস করেছে বলে তথ্য পেয়েছে ডিবি।
চক্রের পলাতক সদস্য জহিরুলের ভাই মুদি দোকানদার রাজুর ব্যাংক হিসেবে গত পাঁচ বছরে কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ডিবি। প্রশ্নফাঁসের প্রায় কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন ফ্ল্যাট মাহমুদুল।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন