‘এক’ কারণে কুয়েতের শ্রমবাজার হারাচ্ছেন বাংলাদেশিরা

899
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

কুয়েতে প্রবাসী শ্রমিকের চাহিদা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ এমনকি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, কুয়েতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মশক্তি বাড়াতে হলে কূটনৈতিক সমঝোতা বাড়াতে হবে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশের প্রায় চার লাখেরও বেশি শ্রমিককে কুয়েত ত্যাগ করতে হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশিও রয়েছেন। বর্তমানে কুয়েতের শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে কুয়েতে।
করোনার বিধিনিষেধের আগে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে প্রবেশ করলেও বর্তমানে দেশটিতে প্রবেশে লাগছে বিশেষ অনুমোদন ”লামানা”। কুয়েতের ভিসা পেতে শুধু বাংলাদেশি শ্রমিকদেরই যেতে হচ্ছে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। আর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে এক থেকে দেড় মাস কখনো তার চেয়েও বেশি সময় লাগছে বলে অভিযোগ ভিসাপ্রত্যাশীদের।

এ কারণে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে তারা খুব সহজেই শ্রমিক নিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে। কুয়েতে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি চলে যাচ্ছে ভারতের হাতে। বাংলাদেশের সাধারণ শ্রমিকরা হারাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় শ্রমবাজার।

বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি কুয়েত সফরে না আসায় এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
কুয়েতের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মশক্তি বাড়াতে কূটনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন