ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে রাশিয়া যে সেনা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে, তা মিথ্যা বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বরং রাশিয়া আরও সাত হাজার সেনা বাড়িয়েছে বলে জানালেন হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
রাশিয়া ‘যেকোনো সময়’ ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে ‘মিথ্যা অজুহাত দেখাতে’ পারে বলে সতর্ক করেন বাইডেন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, রাশিয়া বলছে—সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমা কর্মকর্তারা এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখতে পাচ্ছেন না।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ফোনে ইউক্রেন সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়াকেই উত্তেজনা থামাতে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তাঁরা ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
রাশিয়া শুরু থেকেই ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে এলেও ইউক্রেন সীমান্তে লাখখানেক রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে।
২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা ট্যাংক বহরের একটি ভিডিও গতকাল বুধবার প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা রুশ সেনা প্রত্যাহারের এমন দাবির কথা সারা বিশ্ব থেকেই শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি এটি মিথ্যা।’
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সেনা প্রত্যাহার দেখিনি। আমরা শুধু শুনে আসছি।’
জাতীয় ঐক্যের প্রতীকস্বরূপ গতকাল বুধবার দেশজুড়ে নীল ও হলুদের পতাকা উঠিয়ে রাখেন ইউক্রেনবাসী। এদিন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা মাথায় রেখে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
অন্যদিকে, ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দিক থেকে উত্তেজনা কমিয়ে আনার কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। রাশিয়ার দিক থেকে হামলার বিষয়টিকে তিনি ‘নতুন ধরনের স্বাভাবিকতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।