রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা শুনানির দ্বিতীয় দিন আজ

814
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা শুনানির দ্বিতীয় দিন আজ। হেগের আদালতে পাল্টা যুক্তি তুলে ধরবে গাম্বিয়া।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে শুনানি চলবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।

এর আগে, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলার প্রথম দিনের শুনানি হয়। এতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিভিন্ন প্রমাণ থাকার পরও অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার শিকার হন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের নিধনে চলে গণহত্যা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওআইসির সহযোগিতায় ২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরই মামলার প্রথম দফা শুনানি হয়।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংস পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার দেশটির সামরিক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২২ ব্যক্তি ও ৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এমধ্যে জান্তা সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন। ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা দিল ইইউ।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলছে শুনানি। আদালতে যুক্তিতর্ক আর বিতর্কের মধ্যেই মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে এলো নতুন নিষেধাজ্ঞা।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেসামরিক নাগরিকের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার সামরিক সরকারের ২২ ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়।

এদের মধ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, জাতীয় প্রশাসনিক কাউন্সিলের একজন সদস্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপরও একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আর্থিক সম্পর্ক অথবা সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর চার ধাপে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ৬৫ জন ব্যক্তি ও ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ দেশটির অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে। এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে জান্তার হাতে প্রাণ হারিয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন