ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

804
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে রাশিয়া। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও সীমান্তরক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। একই সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের তিনি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং দেশ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক ফেসবুক বার্তায় তিনি মার্শাল ল (সামরিক আইন) জারির কথাও জানান।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলাবা এক টুইটে জানিয়েছেন, রাশিয়া পুরোদমে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে। তারা (রাশিয়া) শহরগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে।

ইউক্রেনের দক্ষিণ বন্দর নগরী ওদেসা ও মারিউপুল এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে কিয়েভের বরিসপিল এয়ারপোর্টে থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে আরও দুটি স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসির সাংবাদিক পল অ্যাডামস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে সেখানে তিনি পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।

এর আগে সংবাদদাতারা নিশ্চিত করেছেন, রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দোনেৎস্ক ও ক্রামতোর্স্কে বিকট শব্দ শুনেছেন।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ সময়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এর আগে ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান থেকে রাশিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিন নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো বিকল্প নেই। যুদ্ধবন্ধে রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেন্সকি।

পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লাখো সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীন ঘোষণার পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ছাড়াও ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপ লাইন নর্ড স্ট্রিম টুতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ইউরোপ। আপাতত প্রকল্প স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকার ওপর পরবর্তী কঠোর পদক্ষেপ নির্ভর করছে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছেন রাশিয়ার ৩৫১ আইনপ্রণেতা। ইইউর ব্যাংকগুলোতে থাকা রাশিয়ার তহবিল আটকে দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন