বহু পথ হেঁটে ইউক্রেন ছাড়ছে লাখো মানুষ

810
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভসহ মূল শহরগুলো। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরছাড়া লাখো মানুষ। বাস্ত্যুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলোতেও। হাঙ্গেরি সীমান্তে ভিড় করেছে ইউক্রেন থেকে পায়ে হেঁটে আসা হাজারো মানুষ।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দেড় লাখ মানুষ পোল্যান্ড, মালডোভা, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো।

পশ্চিমে হাঙ্গেরি সীমান্তে ভিড় করেছে বহু মানুষ। সীমান্তের নিকটে থাকা এটিএম বুথ, সুপার মার্কেট ও গাড়ির তেল নিতে পেট্রল পাম্পগুলোর সামনে দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ সারি।

পশ্চিম ইউক্রেনের হাঙ্গেরি সীমান্তের ট্রান্সকারপাথিয়া অঞ্চল হয়ে হাঙ্গেরিতে আসা শরণার্থী ক্রিজতিয়ান সাজব্লা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, যাদের সুযোগ আছে সবাই পালানোর চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে যুদ্ধের সাইরেন বাজার পর জনশূন্য হতে শুরু কিয়েভ, ওডেসা, খারকিভসহ ইউক্রেনের মূল শহরগুলো। নাগরিকদের বাড়িতে না থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় দেশটির সরকার।

রুশ হামলা শুরুর পর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছাড়ছেন ইউক্রেনের নাগরিকেরা। অনেকের ঠাঁই হয়েছে পাতাল রেলস্টেশন, বাঙ্কার ও বেজমেন্টে। অসংখ্য নাগরিক দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, জড়ো হচ্ছেন সীমান্তে। বাস্তুচ্যুত কিয়েভের অন্তত ২০ লাখ মানুষ।

৩৩ বছর বয়সি ইউক্রেনীয় ডাক্তার বোগদান খমেনিটস্কি এএফপিকে জানান, ইউক্রেনের পরিস্থিতি ভয়াবহ, আমার বন্ধুরা এবং পরিবার কিয়েভ ও অন্যান্য শহর ছেড়ে সীমান্তের দিকে চলে যাচ্ছে।

ইউক্রেন থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ক্রমাগত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইউক্রেনের নাগরিকদের বাঁচানো এখন প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ২ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই কিয়েভের একটি বাঙ্কারে জন্ম হয়েছে এক শিশুর। রুশ হামলা শুরুর পরপরই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিল তার পরিবার। নবজাতক কন্যা শিশুটি সুস্থ-সবল আছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন