নির্মাণ থেকে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম- দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের, গোটা দায়িত্বটাই রাশিয়ার কাঁধে। প্রকল্পটিতে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের ৯১ হাজার ৪০ কোটিই রুশ বিনিয়োগ।
বিপুল এই কর্মযজ্ঞে বাধ সেধেছে ইউক্রেনে আগ্রাসন। রূপপুরে অর্থায়নকারী দেশটির বৈদেশিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ ব্যাংক-ভিড়বিসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই পড়েছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায়। এমনকি আন্তর্জাতিক লেনদেন ম্যাসেজিং সিস্টেম-সুইফট থেকেও বিচ্ছিন্ন রাশিয়া। তবুও এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে লিখিত বার্তায় রোসাটম জানায়, প্রতিশ্রুত সময়েই শেষ হবে প্রকল্প।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, এখনও কোন আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না, যেহেতু রোসাটম বলেছে যথাসময়ে কাজ শেষ হবে।
আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে রূপপুর প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে কোনো প্রভাব পারবে না।
তবে অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজের মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন, নিষেধাজ্ঞাদানকারি দেশ বা জোটের কাছ থেকে লেনদেনের বিশেষ অনুমতি। কারণ নিষিদ্ধ দেশ থেকে যারা লেনদেন করবে তারাও একরকম কালো তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
আগামী বছরই আংশিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের।