রাজধানীতে বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তু, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

795
রাজধানীতে যেকোনো স্থাপনায় লাগবে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা। ফলে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত যে জনসংখ্যা যোগ হচ্ছে তাদের একটি বড় অংশ রয়েছেন নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
গর্ভবতী নারী ও শিশুরাও বঞ্চিত হন সুচিকিৎসা থেকে। নগর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে এজন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা হলেও ভৌগলিক অবস্থান, জনঘনত্ব, দারিদ্র্য এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে বাংলাদেশের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। ফলে শুধু উষ্ণতা বাড়ছে না, শহর এলাকায় বাড়ছে অতিবর্ষণের ঘটনা। বর্ষাকালে রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতা হয়ে উঠেছে নৈমিত্তিক সমস্যা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন বস্তিতে থাকা ও ভাসমান নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ সময়, পানিবাহিত নানা রোগের পাশাপাশি বাড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপও।

স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় মাঝে মাঝেই পানি জমে থাকে। জমা পানিতে চলাফেরা করার কারণে নানা ধরনের রোগ তৈরি হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল স্বল্পমুল্যে চিকিৎসাসেবা দিলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষেরই স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে সেবা নেয়াটাই চ্যালেঞ্জ। সুতরাং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবগুলো বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান জন্ম দেওয়া, লালন-পালনের কারণে অনায়াসেই মায়ের পাশাপাশি সন্তানের শরীরে জায়গা করে নেয় নানা রোগব্যাধী।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ঢাকাতে যেসব বস্তি রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কোনো সুযোগ নেই। দুই একটি এনজিও আছে যারা বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। আর বাকি সব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হলো ফার্মেসি।

গবেষকদের মতে, সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকারসহ সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমেই দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে যদি সহযোগিতার মনোভাব না থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ করা কঠিন।

রাজধানীতে পাড়ি জমানো মানুষদের নিয়ে সরকারের কোন কর্মপরিকল্পনা না থাকায় তারা জনসংখ্যার সম্পদ না হয়ে হচ্ছেন বোঝা। তাই তাদের মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ওপরও জোর দেন তারা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন