ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহবাহী বিমানটি অবতরণ করে।
এর আগে রোববার (১৩ মার্চ) টার্কিশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দরে তুষারপাতের কারণে বাতিল হয় পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইট। তার্কিশ এয়ারলাইনসের পরিবর্তিত ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা জানায় তারা।
এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মরদেহ ফেরানোর জন্য আগেই পরিবারের সম্মতিপত্র হাতে পেয়েছে রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-তে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হন হাদিসুর।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় ওই জাহাজের বাকি ২৮ নাবিক গত ৯ মার্চ দেশে ফিরলেও আসেনি হাদিসুরের মরদেহ। বিমানবন্দরে ভাইয়ের মরদেহ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুরের ভাই-মাসহ স্বজনরা।
হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে। তুরস্ক থেকে রওনা হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর জলসীমায় নোঙর করে জাহাজটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক ও ক্রু নিয়ে সেখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। আর সেখানেই রকেট হামলায় নিহত হন হাদিসুর।