নিত্যপণ্যের দাম লাগাম ছাড়া, রেশন ব্যবস্থা চায় সাধারণ মানুষ

757
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের চড়া দামের প্রভাবে ক্ষত-বিক্ষত সাধারণ মানুষ। উপায় হিসেবে চাইছেন রেশন কার্ড। পাশাপাশি সরকারের কাছে দাবি সরকারি ব্যবস্থায় নিত্যপণ্য সরবরাহ বাড়ান।
এদিকে, সরকার বলছে বাজারে হস্তক্ষেপ নয় বরং সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আর পরিকল্পনা মন্ত্রী নাকচ করলেন রেশন কার্ডের দাবি। এই হাতাহাতি কেবলই কমদামে সামান্য কিছু তেল, চিনি আর ডালের জন্য।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র খানা জরিপ ২০১৬’র তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় চারভাগের একভাগই গরীব। দুর্মূল্যের বাজারে এখন যাদের দেখা মিলছে টিসিবি’র কমদামের পণ্যের লাইনে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসামঞ্জ্যতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে দাবি উঠছে সরাসরি সরকারি সহায়তার।

বিশ্লেষকরাও বলছেন, বেঁচে থাকার মত খাদ্যপণ্য পাওয়া একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘ভারতে যেমন একটা নিয়ম আছে যে, কেউ যদি দারিদ্রসীমার নিচে থাকে, তাহলে মাসে ১৫দিন পরপর সে একটা নির্দিষ্ট পরিমান খাবার পাবে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে। না পেলে সে মামলাও করতে পারবে সরকারের বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর সরকার আমলে রেশনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সেখানে দুর্নীতি ঢুকে গিয়েছিল।’

যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন না এই অর্থনীতিবিদ। তবে সরকার মনে করে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সামাল দেয়া যাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাজারে কোনো অন্যায় হস্থক্ষেপ করা হবে না। সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দামটাকে প্রসবিত করার একটা জোড় চেষ্টা চলছে।‘

এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে রেশনিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি বাজার গুলোতে টিসিবি’র বিক্রয় কেন্দ্র বাড়ানোর পরামর্শও দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন