‘নির্বাচনে জয়ী হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি’

666
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি

নির্বাচনে জয়ী হলে এককভাবে নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারি সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বিএনপি। সেই সরকারে রাজনীতিকদের বাইরে, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ পেশাজীবীরাও থাকবেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে সরকার, তাই সকলকে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করতে চায় বিএনপি, নিশ্চিত করতে চায় গণমানুষের অধিকার।

দু’দিন আগে, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সরকারে ধারণা গণমাধ্যমের সামনে আনেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর। বিষয়টি পরিস্কার করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, সমস্যা হলো রাষ্ট্রীয় সব কাঠামোকে তারা দখল করে ফেলেছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া তো কোনো সংস্কার বা পরিবর্তন আনার কোনো অধিকার কারো নেই। তাই, দেশে যে পরিবর্তনগুলো আনতে হবে সেগুলো জনসম্মুখে আমরা তুলে ধরবো। আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকবে নির্বাচনে জয়ী হলে তাদেরকে নিয়ে তখন একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। রাষ্ট্র সংস্কারে অনির্বাচিত সরকারের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই। তাই, প্রথমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি। জাতীয় সরকার গঠন করতে চায় জয়ী হওয়ার পর।

জাতীয় সরকারে সমমনা বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণ থাকবে, তার আগে মৌলিক দাবিতে অভিন্ন লক্ষ্যে হবে আন্দোলন। রাজনীতিবিদদের বাইরে থাকবে সুশীল সমাজসহ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবাইকে নিয়েই জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। শুধুমাত্র যে রাজনীতিবিদরাই থাকবেন তা না যারা কমিটেড থাকতে পারবেন তারা সবাই অংশগ্রহণ করবেন।

দলীয় নেতাদের নিত্য অভিযোগ, সরকারি দমন-পীড়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি। মামলা-হামলাসহ নানা প্রতিকূলতায় বিপর্যন্ত কর্মী-সমর্থকরা। জয়ী হলে সরকার গঠনে অন্য দলের অংশগ্রহণ, কিভাবে মেনে নেবেন বিএনপি নেতারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর বলেছেন ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ আমাদের দেশ পরিচালনা ও আগামী দিনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আনার জন্য এই সেক্রিফাইসটা আমাদের করতেই হবে।

মূলত আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই, জাতীয় সরকারের ধারণা সামনে এনেছে বিএনপি। দলীয় কর্মী-সমর্থদের দাবি, বাস্তবতা বিবেচনা করেই এমন ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের এমন ধারণাকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন