সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় উড়তে থাকা পাকিস্তানের। সেই দুঃস্মৃতি এখনও পাকিস্তানের মনে দাগ কেটে আছে। ওই ম্যাচের পর আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) প্রথম মোকাবেলায় সেই হারের প্রতিশোধ নিতে চায় স্বাগতিকরা। অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য জয় দিয়ে ২৪ বছর পর পাকিস্তান সফর শেষ করা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ইতোমধ্যে তিন ম্যাচ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে দুই দল।
টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জেতে অজিরা। আর ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। ফলে ২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় তারা।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ে ফুরফুরা পাকিস্তান। তবে মনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে তাদের। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে তারা।ওই ম্যাচটিই ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
দুবাইয়ে হওয়া সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬৭, বাবর ৩৯ এবং ফখর জামান অপরাজিত ৫৫ রান করেন।
১৭৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পাক ব্রিগেড। তবে ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৪০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান তুলে তাদের স্বপ্নভঙ্গ করেন মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। পরে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে অজিরা।
ওই হারের প্রতিশোধ নিতে চায় পাকিস্তান। সেই ম্যাচে খেলা দলটির তারকা পেসার হারিস রউফ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে আমরা হেরেছিলাম। ম্যাচটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ছিল বলে এখনও আমাদের মনে আছে। জয়ের ভালো সুযোগ আমরা হাতছাড়া করেছিলাম। তবে এবার আমাদের জিততে হবে। ওই ম্যাচ হারের প্রতিশোধ নিতে হবে।’
তবে ২৪ বছর পর পাকিস্তান সফর জয় দিয়ে শেষ করতে চায় অস্ট্রেলিয়া। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি বলেন, ‘টেস্ট সিরিজ জিতেছি আমরা। ওয়ানডেতে ভালো পারফরমেন্স করলেও সিরিজ জিততে পারিনি। তবে সফরের শেষটা জয় দিয়েই করতে চাই। আমরা টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাই এ ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মতোই খেলতে চাই।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার জয় ১০টি এবং পাকিস্তানের জয় ১৩টি। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
