ঋণ করে ‘ঘি’ না খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

582
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

কোভিডের অভিঘাত থেকে কেবলই উঠে আসা সীমিত আয়ের মানুষদের মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে চাপে অর্থনীতি। তাই এবার বাজেটে প্রকল্পে অর্থায়নে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে। দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা ঠেকাতে ভর্তুকি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

করোনা আতঙ্ককে হার মানিয়ে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে গোটা অর্থনীতিতে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। খাদ্য সংকটে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যার তপ্ত হাওয়ায় দেশের বাজারেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

এমন বাস্তবতায় আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তাই এবার প্রত্যাশাও একটু ভিন্ন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ঠেকানোটাই এবার বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বব্যাংকের (ঢাকা অফিস) সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যতটা আন্তর্জাতিক বাজার বেড়েছে, তার সঙ্গে সমন্বয় করে আভ্যন্তরীণ বাজারে সেই দামটা বাড়ানো হয়নি। যার কারণে এ বছরের বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। আগামী বাজেটে সরকারের জন্য এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে আমরা কতটা সুরক্ষা দিতে পারি, এটিই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

চাপে গোটা অর্থনীতি। তাই এবার প্রকল্প নেওয়ার আগে ভাবতে হবে কয়েকবার।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেসব প্রকল্পগুলোর আর্থিক বরাদ্দ সুনিশ্চিত করে সেগুলো শেষ করে ফেলা উচিত। এই প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে এর সুফল আমাদের অর্থনীতি ও জনগণ পাবে।

অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, অতটা ঘাটতিতে যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ ঘাটতি বড় করলে সেটার বোঝা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক হতে হবে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার কোনো মানে হয় না।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সর্তক বার্তা, ঘাটতি বাজেট যেন খুব বেশি দীর্ঘ না হয়।

বিটিএমএ’র সভাপতি মো. আলী খোকন বলেন, স্থানীয় ঋণ নেওয়া হলে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়বে। এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করব, বাজেট থেকে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর ওপর যেন ঋণের কোনো বোঝা চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

এবার বাজেটে রাজনৈতিক চাপকে পাশে রেখে অর্থনৈতিক চাপকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আর বাজেট বাস্তবায়নে নিশ্চিত করতে হবে সংসদীয় ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা। মত বিশ্লেষকদের।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন