জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে একটি মহল নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, জ্বালানির বাড়তি দামের কারণে যে পরিমাণ দাম বাড়ার কথা তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
বুধবার টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা পণ্য নিয়ে টিআইবি’র অভিযোগকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে দুই-এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে যা নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে তাতেই পরিবহন খরচ বাবদ চালের মূল্য ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু সেটা ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। একইভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও দাম বেড়েছে।
পণ্যমূল্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে টিসিবির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে নিয়মিত প্রতি মাসে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই সত্যি হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটার দাম কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায়। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না।’
এ সময় ডলারের দর এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে ভোজ্যতেলের দাম শিগগিরই সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি। বলেন অক্টোবরের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী টিপু মুনশি।





