সাত দিনের মধ্যে ৯ নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ: বাণিজ্যমন্ত্রী

892
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী সাত দিনের মধ্যে দেশের বাজারে খাদ্যপণ্য, তেল ও স্টিলসহ ৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিডিয়া কমপ্লেক্স মিলনায়তনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের তালিকা করে দেবে সরকার। পণ্যের দাম নির্ধারণে ১৫ দিন অতিক্রম হয়ে গেছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে দামের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবদানের কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের ঘামের মূল্য রক্তের মূল্যের চেয়ে কম নয়। শ্রমিক ও মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ তৈরি পোশাক খাত বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিক ও মলিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পণ্যের উপযুক্ত মূল্যও নিশ্চিত হওয়া দরকার। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য এ দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়েছে, বাংলাদেশেও বেড়েছে। শ্রমিকদের কষ্ট হচ্ছে, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। এ জন্য মজুরি কমিশন গঠন করে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়, পণ্যের মূল্য, উৎপাদন ব্যয় সার্বিক দিকগুলো নিয়ে একটি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। যেটা যৌক্তিক মজুরি সেটাই হওয়া প্রয়োজন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক সংগঠন ও নেতাদের শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে। শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ দুটোই দেখতে হবে তাদের। প্রতিষ্ঠান বেঁচে না থাকলে শ্রমিক-মালিক কেউ বাঁচবে না। সবাইকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করতে হবে। শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থেই হওয়া প্রয়োজন। শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিক সংগঠন হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি আশা করব, উভয় পক্ষই দায়িত্বশীল হবেন। সরকার শ্রমিক ও মালিকদের প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তভিত্তির জন্য শ্রমিকদের অবদান অনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের ১ কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, ডাল, চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালও যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এতে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এ তালিকায় তৈরি পোশাক খাতের একটি লেভেল পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। তা সম্ভব হলে আমি খুবই খুশি হব।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন নাহার এমপি, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবেদা পারভীন প্রমুখ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন