ডিম আমদানি উচিত হবে না: কৃষিমন্ত্রী

488
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

ডিমের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দু-তিন মাসের মধ্যে কমে যাবে। তবে চাষিদের কথা বিবেচনায় রেখে ডিম আমদানি করা উচিত হবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে এবং যে পরিমাণ চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে, তাতে দেশে খাদ্য সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। খাদ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মানুষের কষ্ট হলেও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

করোনা অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যখন গমের দাম বেশি থাকে, তখন মানুষ চালের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু আমাদের যে খাদ্য মজুত রয়েছে, তাতে মঙ্গাপীড়িত অঞ্চলসহ কোথাও সংকট হবে না। বোরোর জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সার সংকট হবে না।

এ সময় মিয়ানমারের গোলা বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে চলে আসা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যে কোনো হুমকি তারা মোকাবিলা পারেন। আমরা যুদ্ধ চাই না। কারণ আমরা যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় নেই। আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মিয়ানমারও যুদ্ধ করার অবস্থায় নেই।

চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে ইউরিয়া সার ৬ দশমিক ৫৩ লাখ মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন, ডিএপি ৯ দশমিক ৪৭ লাখ মেট্রিক টন এবং এমওপি ২ দশমিক ৬৮ লাখ মেট্রিক টন মজুত রয়েছে।

এর আগে ডিমের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে। এরপরই ডিমের দাম কমে যায়। তবে আবার বেড়ে গেছে ডিমের দাম।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন