সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে আমরা চিন্তিত। সংকট চতুর্মুখী। ৫ থেকে ৬ মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে। আমরা রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সংকট কাটাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রিজার্ভ সংকটের জন্য সরকারের পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে। সরকার পদত্যাগ করলেই কি বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব দেশ থেকে চলে যাবে?
সেতু মন্ত্রী বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি বৈশ্বিক। যেসব দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে সেখানে কি কোথাও সরকারের পদত্যাগ দাবী করেছে সে দেশের জনগণ? জনগণ কষ্টে থাকলে তার প্রতিক্রিয়া হবেই। আমরা সে ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর দিব।
জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে কাদের বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। আইনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই ভূত কেন বিএনপি তাদের মাথা নামাতে পারছে না তা জানি না। ইভিএম স্বচ্ছ ও এতে জালিয়াতির কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই আমরা শতভাগ ইভিএম চেয়েছি, কমিশন কতগুলো কেন্দ্রে দিবে সেটা তাদের ব্যাপার। সরকারি দলের কোনো ভয় নেই, বিরোধী দল কেন ভয় পাচ্ছে?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বিএনপি নেত্রী মুক্ত আছেন। অথচ বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য একটি কার্যকর বিক্ষোভেরও ব্যবস্থা করতে পারেনি। বিএনপিকে বলবো, আপনারা মাথা খারাপ করবেন না। মাথা খারাপ করে আবারও পেট্রল বোমা নিয়ে নামবেন সে ভয়ে আছি আমরা। তারা যদি ১০ লাখ লোকের সমাগম করে রাজধানীতে তাহলে আমরাও ৩০ লাখ লোকের সমাগম করাবো। এ সময় বিএনপিকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।