শনিবার বড় শোডাউনের পরিকল্পনা বিএনপির, রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগও

496
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ১০ বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি। কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। জেলায় জেলায় দায়িত্বশীল নেতারা উঠান বৈঠক, প্রস্তুতি সভা ও লিফলেট বিতরণ করছেন। চলমান আন্দোলনে বড় পরিসরে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় বড় ধরনের শোডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে হবে এ সমাবেশ। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দল এবং জোটও ঢাকায় সাধ্যমতো সমাবেশ করবে। সমাবেশ থেকে জনসম্পৃক্ত নানা ইস্যুতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচির বিষয়ে মতামত নিয়েছে বিএনপি। এগুলো চূড়ান্ত করে সমাবেশ থেকেই ঘোষণা দেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা মহানগরে চারটি পদযাত্রায় নেতাকর্মী ছাড়াও খেটে খাওয়া মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন যত বাড়বে, আন্দোলন তত শক্তিশালী হবে। এর মধ্য দিয়েই অর্জিত হবে চূড়ান্ত বিজয়।

বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকায় সমাবেশে বিপুল উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য মহানগর ছাড়াও আশপাশের জেলায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এসব জেলা থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে নয়াপল্টনে। এ জন্য গতকাল বৃহস্পতিবারও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা হয়। বিভাগীয় সমাবেশের লক্ষ্য গত ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিকে উজ্জীবিত করা। সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমে আবারও সাংগঠনিক শক্তির জানান দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। সমাবেশ সফলে প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগে ৫ থেকে ৬ লাখ লিফলেট বিতরণের টার্গেট নেওয়া হয়।

এদিকে, শনিবারের ১০ বিভাগীয় মহাসমাবেশের কর্মসূচি চলাকালে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী থাকবেন সতর্ক পাহারায়। রাজধানীজুড়ে এমন অবস্থানের পাশাপাশি শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউনও করবে আওয়ামী লীগ।

নেতারা বলছেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের আগের কর্মসূচি ঘিরে সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস ঠেকাতে মাঠে অবস্থান ছিল তাঁদের। ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ, ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল, ১১ জানুয়ারির গণঅবস্থান এবং পরে চার দিনের পদযাত্রাসহ সব কর্মসূচি ঘিরে সর্বাত্মক পাহারায় ছিলেন তাঁরা। কাল শনিবারও একই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ থাকবে। বিশেষ করে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের দিকে সতর্ক নজর রাখা হবে।

জানা গেছে, বিএনপিসহ মিত্রদের কর্মসূচি দুপুর ২টায় শুরু করার পূর্ব ঘোষণা থাকলেও সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরীর সর্বত্র অবস্থান নেবেন। দিনভর এই অবস্থানকালে রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে থেকে মিছিল-সমাবেশও করবেন তাঁরা। ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশেও সম্ভাব্য নৈরাজ্য ঠেকাতে নেতাকর্মীকে এমন সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর কোথাও সহিংসতা-নাশকতার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়া মাত্রই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকার সমর্থকরাও প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন।

এই অবস্থানের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তরের অধীন ২৬ থানা, ৫৪ ওয়ার্ড এবং একটি ইউনিয়নের সবগুলোতেই নেতাকর্মীকে নিয়ে পাহারা বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত সমাবেশের কর্মসূচি দেয়নি। তবে আগের মতোই শনিবার সকাল থেকে রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোথাও কোনো সহিংসতা ও নৈরাজ্যের আভাস পাওয়া মাত্রই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন