সরকারের পতন মূল দাবি হওয়া উচিত : গয়েশ্বর

459
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো বিএনপির মূল দাবি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন আমাদের মুখ্য দাবি হওয়া দরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে এই সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে, এই সরকারকে সরাতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন অপরিহার্য।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি এবং দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক রাশেদুল হক, আমিরুল ইসলাম কাগজী, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাংস্কৃতিক জোটের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, একজন চেয়ারম্যান বলেছেন, জনগণ থাকবে নিরাপদে ঘরে, ভোট দেবে প্রশাসন, সন্ধ্যায় ফল গণনা করবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, ২০১৮ সালের নির্বাচন দেখেছেন, কারা ভোট দিয়েছে? প্রশাসন। প্রশাসন বলতে বুঝায় ডিসি-এসপি পুলিশ ইত্যাদি। কে কত ভোট দিতে পারে। কারণ ভয়, না হয় চাকরি যায়। দেশটা আমার একার নয়, আপনারও নয়। যারা পুলিশে চাকরি করেন, পুলিশে আজীবন চাকরি করবেন না।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কথা চিন্তা করেন, ১৯৭১ সালের মতো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের রুখে দাঁড়ান। ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি; সেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা এখন যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন, নাকি বিরোধিতা করবেন? অংশগ্রহণ করলে ভালো, না করলে ১৯৭১ সালের মতো রাজকারের খাতায় নাম লেখাবেন।

১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন আওয়ামী লীগও আরেকটি শান্তি কমিটি করছে। যেদিন আমরা কর্মসূচি করি, সেদিন এই শান্তি কমিটিও কর্মসূচি দেয়। এই শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওবায়দুল কাদের। আমার মনে হয় ওবায়দুল কাদের তার পারিবারিক সূত্রের অভিজ্ঞতা পাওয়া। আমি বিশ্বাস করি, তিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করবেন। কোনো কমিটি এই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশপ্রেমিক নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে সবাইকে বুঝতে হবে, এই সরকার জাতীয়তাবাদী নয়, দেশপ্রেমিক নয় এবং গণতান্ত্রিক নয়। যার কারণে জনগণের কথা তোয়াক্কা করে না।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন