যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক সুলতানা জেসমিন: র‌্যাব

521
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। সংস্থাটি জানায়, এনমুল হক রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে র‌্যাব আটক করার সময়ও উপস্থিত ছিলেন এই যুগ্ম সচিব ।

মঙ্গলবার(২৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে তার উপস্থিতিতেই নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে আটক করেছিল র‌্যাব। পরে তিনি ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে’ তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, যুগ্ম সচিবের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছিল। যুগ্ম সচিবের নাম ও পদবি ব্যবহার করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ আদায় করছিল চক্রটি। এ বিষয়ে ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথমে জিডি করেন এনামুল হক।

তিনি বলেন, জিডিতে যুগ্ম সচিব তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে যে প্রতারণা করা হচ্ছে সেই অভিযোগ করেন। একজন নারী তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন এমন অভিযোগে তিনি আদালতে মামলাও করেন।

আল মঈন বলেন, সর্বশেষ ১৯ ও ২০ মার্চ তার নাম ব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে টাকা নেয়ার তথ্য পান তিনি। প্রাথমিকভাবে জানতে পারেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আল আমিন নামে এক ব্যক্তি যুক্ত এবং তার সহযোগী হিসেবে জেসমিন কাজ করছিলেন।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, গত ২২ মার্চ (বুধবার) এনামুল হক র‌্যাবের টহল টিমকে দেখতে পেয়ে অভিযোগ করেন। তখন এনামুল হকসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীকে আমরা শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এনামুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার সম্মুখেই ভূমি অফিসে কর্মরত জেসমিনকে আমরা আটক করি। সেখানে দুজন সাক্ষীও ছিলেন।

নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‍্যাব। এরপর ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন