পাঞ্জাব পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামান পার্কের বাসভবনে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে তারা শুধু পানি ও বিস্কুট নিয়ে ফিরেছে বলে জানিয়েছেন ইমরান খানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান।
শুক্রবার (১৯ মে) লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশি অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ইফতিখার ঘুমান।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম ডনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলি রনধাওয়া, ডেপুটি কমিশনার রাফিয়া হায়দার, ডিআইজি অপারেশন সাদিক ডোগার এবং এসএসপি অপারেশন সোহাইবের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার ইমরান খানের বাসভবনে তল্লাশি পরিচালনা করেন।
ইমরানের বাসভবনে তল্লাশি চালানোর অনুমতি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পাঞ্জাব পুলিশ এই তল্লাশি করে।
পাঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, বাড়িটির প্রবেশ পথ ও বাহির হওয়ার রাস্তাসহ উভয় গেট দিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হবে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসীদের’ খুঁজে বের করা।
তল্লাশি শেষে ইমরানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতিখার ঘুমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তল্লাশি শেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পুলিশকে। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি তারা বুঝতে পেরেছে, এখানে কিছুই নেই। তারা শুধু পানি আর বিস্কুট পেয়েছে।
এসময় ইফতিখার আরও বলেন, আপনাদের সামনেই আমরা তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলাম। এখন তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করুন তারা কী পেয়েছে?
উল্লেখ্য, গত বুধবার পাঞ্জাব সরকার দাবি করে, ইমরান খানের বাড়িতে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীকে লুকিয়ে রয়েছে। তাই তাদের হস্তান্তর করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তবে লাহোর ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) বিলাল সাদ্দিক কামিয়ানা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, পিটিআই প্রধানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টাকালে ছয় ‘সন্ত্রাসীকে’ তারা গ্রেপ্তার করেছেন।
গত ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি সন্ত্রাসবাদের মামলায় ২ জুন পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছে দেশটির আদালত।
উল্লেখ্য, ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দফতরে (জিএইচকিউ) প্রবেশ করে এবং লাহোরে একটি কর্পস কমান্ডারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এ সংঘর্ষে সরকারের দাবি ১০ জন নিহত হয়েছে। যদিও ইমরানের দল পিটিআই দাবি করেছে তাদের ৪০ জন কর্মী নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে।