নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১৯ আগস্ট দুুপুরে এই রুল জারি করা হয়। ২০১১ সালে সংবিধানে এই সংশোধনীটি আনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল ছাড়াও ঐ সংশোধনীতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এছাড়া সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫ টি থেকে বাড়িয়ে ৫০ টি করা হয়।
সংবিধান আইন-২০১১ (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাস হয় ২০১১ সালের ৩০শে জুন। এর তিনদিন পর ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়া হয়। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে।
সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে। সংশোধনীটি উত্থাপন করেন সেই সময়ের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে বিলটি ২৯১-১ ভোটে পাস হয়।