নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমানবন্দর থেকে নিজ গাড়িতে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুপুর দেড় টায় সড়কপথে গুলশানে আসেন তিনি। বিমানবন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সকাল ১১টা ১০ মিনিটের দিকে সড়কপথে গুলশানের দিকে রওনা দেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় দুই পুত্রবধূ তার সঙ্গে ফিরোজায় এসেছেন। সড়কে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফিরোজায় পৌঁছাতে বেশি সময় লেগেছে। কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে সড়কপথে লাখো নেতা-কর্মীর ভিড় দেখা গেছে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে। এ সময় সড়কের পাশে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাধন জানান।
এর আগে, চিকিৎসা শেষে চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরেন বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় সকাল দশটা ৪০ মিনিটের দিকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় দুই পুত্রবধূ এবং ড. এ জেড এম জাহিদের নেতৃত্বাধীন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের ৯ জন একই বিমানে দেশে পৌঁছেছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। দলের নেত্রীকে এক পলক দেখতে বিমানবন্দর এলাকা ও গুলশানে লাখো নেতাকর্মী ভিড় করে আছেন।
এর আগে লন্ডনের গ্রিনিচ সময় গতকাল সোমবার বিকাল ৪টা ১০মিনিটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে (আধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। যাত্রাপথে কাতারের দোহা বিমানবন্দরে বিরতি শেষে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি। সঙ্গে আসছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ৬ মে মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহন করা কাতার আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে দোহা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন।