রফিকুল ইসলাম সবুজ:
রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা প্রায় শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা, সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করা, উচ্চকক্ষে ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন, রাষ্ট্রের মূলনীতির পরিবর্তনসহ নির্বাচন পদ্ধতি ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে করা গুরুত্বপূর্ণ অনেক সুপারিশের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, বাম জোটসহ ক্রিয়াশীল দলগুলো। কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছু বিষয়ে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বড় দলগুলোর মধ্যে মতভেদের কারণে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এতে কিছুটা বিব্রত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ পর্যন্ত কমিশন ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে ১৬৬টি সুপারিশের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনের, ২৭টি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, ২৩টি বিচার বিভাগ সংক্রান্ত, ২৬টি জনপ্রশাসন বিষয়ে ও ২০টি দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত। ইতিমধ্যে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে লিখিত মতামত পেয়েছে এবং ১২ দলীয় জোটসহ এ পর্যন্ত ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিয়েছে। আলোচনার পর যেসব সুপারিশে ঐকমত্য হবে সেগুলো নিয়ে সব দলেরই একটি জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সংবিধানের বেশিরভাগ মৌলিক পরিবর্তনের প্রস্তাবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল এবং বাম দলগুলো বিরোধিতা করেছে। তবে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই একমত হয়েছে এনসিপি। আর আংশিক একমত হয়েছে জামায়াত।
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে- একই ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে দুবার বলতে কেউ যদি একবার এক মাসের জন্য এবং আরেকবার ১৫ দিনের জন্যও প্রধানমন্ত্রী হন তা হলে তিনি আর কখনোই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- কমিশনের এ সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এনসিপি চাইছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন এবং প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদের পরপর তিনি রাষ্ট্রপতিও হতে পারবেন না।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাব- এক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দুবার বা ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় না তারা। তবে এ সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়নি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। তারা চাইছে একই ব্যক্তি টানা দুবারের পর বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ে বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে ‘এক ব্যক্তি মাঝখানে বিরতি দিয়ে সর্বোচ্চ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন’- নতুন এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। বিএনপির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত তাদের জোটের শরিক দলগুলোও।
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে সংবিধানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনার বিষয়ে জামায়াত ও এনসিপি একমত হলেও ভিন্নমত পোষণ করেছে বিএনপি ও তাদের মিত্র দল এবং বাম দলগুলো। এ ছাড়া সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্রীয় নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবেও একমত হয়নি তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিএনপি পরবর্তী সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যৌক্তিক বলে মত দিয়েছে। তারা বলেছে যদি একটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তৈরি হয় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়, তা হলে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে জামায়াতে ইসলামীর মত- সংবিধানের মূলনীতিতে ‘আল্লাহর প্রতি অবিচল ঈমান-আস্থা’ পুনঃস্থাপন করা। তারা সংবিধানে সাম্য, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের নীতিগুলো বজায় রাখার পক্ষে। আর বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে রয়েছে, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গায় রাষ্ট্রধর্ম প্রতিষ্ঠিত ছিল। বাহাত্তর সালের সংবিধানের চার মূলনীতি ও পরবর্তী সংশোধনীর মাধ্যমে গৃহীত মূলনীতি সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া প্রস্তাব এনসিপির।
‘সংসদের মেয়াদ চার বছর এবং একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না’ সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন সুপারিশের সঙ্গেও একমত হয়নি বিএনপি। তারা সংসদের মেয়াদ বিদ্যমান পাঁচ বছর রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছে, একটি দলের প্রধান কে হবেন, তারা ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, কে সংসদ নেতা হবেন এসব ঠিক করার বিষয়টি একান্ত দলের নিজস্ব বিষয়। এসব সংবিধানে ঠিক করে দেওয়া যাবে না। তবে কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপিসহ কয়েকটি দল। আর জামায়াত এবং বাম দলগুলো সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছরের পক্ষে মত দিয়েছে।
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন নির্বাচকমণ্ডলীর (ইলেকটোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে। আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্যদের প্রত্যেকের একটি করে ভোট, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট (৬৪টি জেলা সমন্বয় কাউন্সিল থাকলে ৬৪টি ভোট), সিটি করপোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট দেবে। কমিশনের এ প্রস্তাবের সঙ্গে এনসিপি একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং দলগুলোর প্রাপ্য ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এ প্রস্তাবের সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপি একমত হলেও আংশিক দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। তাদের প্রস্তাব প্রাপ্য ভোটের ভিত্তিতে নয়, নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী এবং সিপিবিসহ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে সংসদের উভয় কক্ষের জন্য সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশে এ পদ্ধতি সফলভাবে চলমান। কাজেই তারা মনে করেন, যে দল যতগুলো ভোট পাবে, তার ভিত্তিতে সংসদে তারা প্রতিনিধিত্ব করবে।
দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার জন্য নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ- এই তিনটি বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) গঠন করার বিষয়ে কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ দল। তবে এই সুপারিশের সঙ্গে একমত এনসিপি।
সংবিধান সংস্কার কমিশন জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এনসিপিসহ কয়েকটি দল। তবে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, বিতর্কিত নিয়োগ যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে আপিল বিভাগের দুই থেকে তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতির মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সংবিধান সংশোধনে দুই কক্ষের অনুমোদনের পর গণভোট করার প্রস্তাবেও একমত হয়নি বিএনপি। এ ছাড়া সংবিধানে মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নামে আলাদা অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং নিম্নকক্ষে তরুণদের জন্য ১০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়া ও সংসদ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাবে এনসিপি একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপিসহ তাদের মিত্র দলগুলো। সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতার অবসানের প্রস্তাব করেছে। তাদের মতে, বর্তমান ব্যবস্থায় সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার পরামর্শেই রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাচন করেন। এর ফলে রাষ্ট্রপতির কোনো কার্যকর ভূমিকা থাকে না। এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়নি বিএনপি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কেউ অভিযুক্ত হলে তাকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করার বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে এনসিপি একমত হলেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল। বিএনপির মতে, কাউকে অভিযুক্ত করলেই তাকে দোষী বলা যায় না, আর শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে অযোগ্য ঘোষণা করা যুক্তিসংগত নয় বলেও দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিএনপি বলছে, শুধু আদালতের রায়ে প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হলে তবেই তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি বেশিরভাগ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও গণতন্ত্র মঞ্চ এবং ১২ দলীয় জোট বিএনপির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে। বিএনপিসহ ক্রিয়াশীল দলগুলো সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একমত হতে না পারায় অনেকটা বিব্রত ঐকমত্য কমিশন। কারণ ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে যে আওয়াজ উঠেছিল তাতে কমিশনের ধারণা ছিল দলগুলো সংস্কার ইস্যুতে একমত হবে। কিন্তু বড় দলগুলো একমত হতে না পারায় জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশয় তৈরি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফা সংলাপ আগামী ১৫ মে শেষ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর বাইরে সংস্কার করার সুযোগ নেই। এর বাইরে যেটি করার প্রয়োজন সেটি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে। তার মতে, বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবেÑএটি যারা চিন্তা করে, এটি বাকশালী চিন্তা। কারণ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দর্শন, বিভিন্ন চিন্তা থাকবে, ভিন্নমত থাকবে এটিই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, শুধু সেগুলোর ওপর ভিত্তি করেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। এ জন্য প্রতিটি পক্ষকেই কিছু ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। ঐকমত্যের বিষয়ে সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে, সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনে প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার বলেন, সব দল বা ক্ষেত্রবিশেষে অধিকাংশ দল যেসব সুপারিশের বিষয়ে একমত হবে সেগুলো একত্রিত করে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা হবে। যেসব সুপারিশের বিষয়ে দলগুলো আংশিক একমত সে বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিতীয় বা প্রয়োজনে তৃতীয় দফায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুত্র: সময়ের আলো।