কৃষি সচিবের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্ধারিত সময়ের পর বীজ সরবরাহ নিতে চাপ দিচ্ছেন ডিএই কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন

476
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রণোদনা হিসাবে ২০টি জেলার কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করার জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৫০ টন পেয়াজের বীজ বিদেশ থেকে ক্রয় করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত ২৬ জুনের মধ্যে বীজ সরবরাহের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করতে পারেনি বঙ্গ এগ্রোটেক নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে ১২ টন বীজ সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে নির্ধারতি সময়ে বীজ দিতে না পারলেও ডিএই এর সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. মো. জামাল উদ্দীন কৃষি সচিবের নাম ভাঙ্গিয়ে সংস্লিষ্ট ডিডিদেরকে নির্ধারিত সময়ের পরে জুলাই মাসে বীজ যাতে গ্রহণ করে সেই চাপ দিচ্ছেন। তিনি সংস্লিষ্টদের বলছেন, ‘সচিব স্যার বলেছেন জুলাই মাসে মাল নিতে হবে।’ বীজ সরবরাহ না নিয়েই বিল দেয়ার তোড়জোড় চলছে বলেও জানা গেছে।

সংস্লিষ্টরা জানান, সরকার বিনামুল্যে কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করে থাকে। আগে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মাধ্যমেই সব বীজ সংগ্রহ করা হতো। কিন্তুু এবার ডিএই সরাসরি পেয়াজের বীজ ক্রয় করছে। সংস্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ২২ শ’ টাকা দরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই বীজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গড়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করছেন লও ডিএই এর সরেজমিন উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. মো. জামাল উদ্দীন। এই কর্মকর্তা বঙ্গ এগ্রোটেক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব কারনে বঙ্গ এগ্রোটেক নির্ধারিত সময়ে বীজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর শর্ত অনুযায়ী কার্যাদেশ বাতিল না করে পরবর্তী অর্থ বছরের জুলাই মাসেও যাতে সরবরাহ নেওয়া হয় সে জন্য তার অধিনস্থ সংস্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন। রাজশাহীর পুটিয়া কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারিরা জানান, তারা নির্ধারিত সময়ে বীজ সরবরাহ পাননি।

 

শেয়ার করতে ক্লিক করুন