নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশজুড়ে ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিউজ চ্যানেলের নাম ব্যবহার করে সরকারি অনুমোদন ছাড়া ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেওয়া এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ বাড়ছে প্রতিদিন। তারা প্রতিদিন দেশের বৃওশীল লোক, সাধারণ জনগণ, ও সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং সঙ্গে এ আইয়ের মাধ্যমে নারী ছবি এড করে মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারি দিয়ে নিউজ তৈরি করে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন এবং একেক সময় একেক নাম্বার দিয়ে ফোন দেয় । যদি কোন ব্যক্তি তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাহলে তার ছবি দিয়ে তাদের ভুয়া ফেসবুক পেজ এবং ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা নিউজ দিয়ে তাদের হয়রানি শিকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি ব্যক্তি বা গ্রুপ নামে-বেনামে ‘অনলাইন টিভি’, ‘ফেইসবুক লাইভ টিভি’, ‘ডিজিটাল নিউজ’, ‘লোকাল টিভি’ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে পেইজ খুলে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে। তারা কোনোরূপ প্রেস কার্ড বা সরকারি স্বীকৃতি ছাড়াই মানুষের কাছে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক বা ব্যক্তিগত পারিবারিক বিবাদকে নিউজ তৈরির নামে কাজে লাগিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক সংগঠনের প্রোগ্রামে এরা সামনের চেয়ারে বসে অথবা দাড়িয়ে ছবি তোলা বা ভিডিও’র জন্য ঠেলাঠেলি করতে থাকে।
সচেতন মহলের মতে, অল্প খরচে পেইজ খুলে ‘মিডিয়া’ নাম ব্যবহার করা সহজ হওয়ায় প্রতারকরা এই সুযোগ নিচ্ছে। তাই ভুয়া নিউজ চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরুতে না পারা শিক্ষাগত যোগ্যতা অসম্পন্ন থাকার পরেও এরা নিজেদের বড় মানের গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।
ভুয়া সাংবাদিকদের কারণে সত্যিকারের সাংবাদিকতার মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এসব প্রতারক চক্র সাব- রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, এল জিডি, বন বিভাগ,সহ সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফোন নাম্বার মেসেজ দিয়ে মোট অংকে চাঁদা দাবী করে বিশেষ করে ঢাকা শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায় এসব ভুয়া টিভি/অনলাইন নিউজ পেইজ বেশি সক্রিয়।





